কলকাতা: জিটিএ নির্বাচনের আগে তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোক। তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন জিটিএ চেয়ারম্যান বিনয় তামাং (Binay Tamang)। পাহাড়ের জনপ্রিয় মুখ রহিত শর্মাও তৃণমূলে যোগ দেন। প্রাক্তন বিধায়ক রহিত এবং বিনয় বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতা এসে পৌঁছন। এর পর তৃণমূলের ক্যামাক স্ট্রিটের (Binay Tamang) অফিসে আসেন। রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং মলয় ঘটক তাঁদের হাতে তৃণমূলের (AITC) পতাকা তুলে দেন।
বিনয় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই তৃণমূলে যোগ দিলাম। জুলাই মাসে আগের পার্টি থেকে পদত্যাগ করি। তার পর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলাম। আগে স্থানীয় দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আজ জাতীয় দলে যোগ দিলাম। পাহাড়ের মানুষের জন্য আরও অনেক কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে।
১৫ জুলাই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা থেকে পদত্যাগ করেন বিনয়। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, ‘২০১৯ থেকে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিল। পাহাড়ের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত হয়। তবে আমি রাজনীতি ছাড়ছি না। দ্রুত রাজনীতিতে নয়া ইনিংস শুরু করছি।’
আরও পড়ুন: weather update: পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে উধাও উত্তরে হাওয়া, আরও বাড়বে তাপমাত্রা
সেই ঘোষণার ১৬৪ দিন পর নতুন ইনিংস শুরু করলেন। বিনয়ের যোগদান প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘বিনয়-রহিত যোগদান করায় পাহাড়ে তৃণমূল অনেকটাই শক্তিশালী হল। আগামিকাল থেকেই আপনারা সেটা বুঝিতে পারবেন।’ তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিনয়ও স্পষ্ট করে দেন, বিজেপিই তাঁর মূল প্রতিপক্ষ।
১৯৮৬ সাল থেকে জিএনএলএফের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিনয় তামাং। ২০০৭-এ তিনি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাতে যোগ দেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, বিনয়-রহিতের যোগদানের ফলে পাহাড়ের রাজনীতি তো বটেই সমতলের গোর্খা অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপিকে বেগ দিতে পারবে জোড়াফুল শিবির।
বিনয় বলেন, বিজেপি এবং তার শরিকরা আমাদের মূল বিরোধী। আমাদের নানাভাবে প্রলোভন দেখানো হয়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে থাকলেই পাহাড়ের প্রকৃত উন্নয়ন হবে বলে মনে হয়েছে। গোর্খাল্যান্ড ইস্যু সাংবিধানিক বিষয়। তাই সে ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না।
আরও পড়ুন: Venkaiah Naidu: কোথায় গলদ? সাংসদদের আত্মসমীক্ষা করতে বললেন বেঙ্কাইয়া নাইডু