কলকাতা: বেনজির ঘটনা। নিয়ম ভেঙে বিধায়ক হস্টেলের ভিতরে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিজেপি বিধায়কদের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্র বাহিনী৷ বৃহস্পতিবার বিজেপির প্রায় ৬০-৬২ জন বিধায়কের জন্য দুইশোর বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী বিধায়ক হস্টেলে ঢুকেছেন৷ আছেনও। নিয়ম অনুযায়ী, বিধায়ক হস্টেলের ভিতরে বিধায়ক ছাড়া কেউ থাকতে পারে না৷ থাকতে গেলে বিধানসভার স্পিকারের অনুমতির প্রয়োজন। এক্ষেত্রে স্পিকারের অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। তা নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
ভিডিও দেখুন:
মাস খানেক আগে কেন্দ্রের তরফে বিজেপি বিধায়কদের জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করা হয়৷ প্রতি বিধায়কের জন্য চার জন কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ দুজন করে এক দিন বাদে এক দিন বিধায়কের নিরাপত্তায় থাকবেন৷ বর্তমানে ৭৫ জন বিজেপি বিধায়ক আছেন৷ সূত্রের খবর, তাঁদের মধ্যে ৬০-৬২ জন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়েছেন৷ সব মিলিয়ে প্রায় ২৪০ জন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী৷ তাঁরা বিধায়কদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বিধায়ক হস্টেলে আসেন৷ রাতে থাকা-খাওয়ায় চলে৷ করোনাকালে তা কি নিয়ম সঙ্গত? স্পিকারের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি?-এই সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
করোনো সংক্রমণের কারণে হু-র গাইড লাইন মেনে বিধায়ক হস্টেলে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ হয়৷ বিধানসভার সচিব অভিজিৎ সোম এক নির্দেশিকায় জানান, বিধায়ক হস্টেলে বিধায়ক ছাড়া কেউ থাকতে পারবেন না৷ তারপরও বিজেপি বিধায়কদের নিরাপত্তায় নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী! তা নিয়েই বিতর্ক৷
তৃণমূল সাংসদ গৌগত রায় বলেন, চূড়ান্ত অন্যায়৷ স্পিকার বিধানসভায় বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষী কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রবেশে নিষধাজ্ঞা জারি করেছেন৷ বিধায়ক হস্টেল বিধানসভার আওতায় পড়ে৷ সেখানে প্রবেশের অনুমতি না নিলে স্পিকার অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন৷ রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, স্পিকারের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কিনা জানি না৷ তবে, আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া যায়৷ ইস্যু করার মানে হয় না৷