কলকাতা: বিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কলকাতা হাই কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে ‘স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন’(এসএলপি) দায়ের হাই কোর্ট প্রশাসনের।
আরও পড়ুন- দিল্লিতে তৃণমূল সুপ্রিমো, মঙ্গলবার মোদি-মমতা বৈঠক
বিচারপতিদের বিচার্য বিষয় নির্ধারণ হবে কীভাবে? বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতির প্রশাসনিক ক্ষমতার পরিধি কতদূর হবে? তারই নির্দেশ চেয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানাল হাইকোর্ট। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের মামলা ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো নিয়ে আইনজীবী মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে হাইকোর্টে। এই ইস্যুতেই সুপ্রিম কোর্টে যেতে বাধ্য হল হাইকোর্ট প্রশাসন।
আরও পড়ুন- হিংসার প্রতিবাদে হেলমেট পরে বিধানসভায় বিধায়করা
সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবীদের মতানৈক্যের জট কাটেনি। তবে, হাইকোর্টের পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে আইনজীবীদের ৮0 শতাংশই দাবি মেনে নেওয়া হয়৷ কিন্তু প্রধান বিচারপতির কাজ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও সমাধান সূত্র বের হয় নি। আইনজীবী ঋজু ঘোষাল ও আনসার আলী মন্ডল জানিয়েছিলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার ফের আইনজীবীদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। বেলা একটায় ওই বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে আইনজীবীরা পরবর্তী পদক্ষেপ কী গ্রহণ করবেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এজলাসে তাঁরা সওয়াল করবেন কি না।
আরও পড়ুন- BREAKING: পেগাসাস আড়িপাতা কাণ্ডে তদন্ত কমিশন গঠন করল রাজ্য
আইনজীবীদের আরও বক্তব্য, কলকাতা হাইকোর্টের আপিল এক্সাইটে রুল ভঙ্গ করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের রায় তা প্রমাণ করে। এই রায় কলকাতা হাইকোর্টের ইতিহাসে এই প্রথম। ওই রায় ও তার অনুমোদন ছাড়া বেঞ্চ বদল কলকাতা হাইকোর্টের প্রশাসনকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এই কাজ নিয়ে আমরা আলোচনার দাবি করেন আইনজীবীরা। এ বিষয়ে বিচারপতিরা বলেন, বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন কারণ ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেল মামলা দায়ের করেছেন। তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয়।