কলকাতা: জন বার্লার পৃথক রাজ্যের দাবিকে সমর্থন করেছেন দিলীপ ঘোষ৷ জানিয়েছেন, এটা উত্তরবঙ্গের মানুষের দাবি৷ বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্যে নতুন করে আলোড়ন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে৷ প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি পৃথক রাজ্যের দাবিতে পথে নামবে বিজেপি? জবাব দিতে দেরি করেনি তৃণমূল৷ তোপ দেগে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, বিজেপির বঙ্গভঙ্গের চেষ্টা ব্যর্থ করবে বাংলার মানুষ৷
শনিবার টুইট করেন শিক্ষামন্ত্রী৷ লেখেন, ‘বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি বুঝে নিক দুর্বৃত্ত৷ বঙ্গভঙ্গের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিল পরাক্রমশালী ব্রিটিশ৷ তাই আজ যারা আবার বাংলাভাগের চক্রান্ত করছে, তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে৷ বাংলার মানুষ বিজেপির এই দুরভিসন্ধির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে৷’
“বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি বুঝে নিক দুর্বৃত্ত”
বঙ্গভঙ্গের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিল পরাক্রমশালী ব্রিটিশ। তাই আজ যারা আবার বাংলাভাগের চক্রান্ত করছে, তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। বাংলার মানুষ @BJP4Bengal-র এই দুরভিসন্ধির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।#BengalStandsUnited pic.twitter.com/cz7ChwR7RG
— Bratya Basu (@basu_bratya) August 21, 2021
দলীয় কর্মসূচি শহীদ সম্মান যাত্রায় যোগ দিতে জলপাইগুড়ি গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ৷ সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি৷ জন বার্লার সামনেই তাঁকে রাজ্যভাগ নিয়ে প্রশ্ন করেন৷ জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এটা উত্তরবঙ্গের মানুষের দাবি৷ তৃণমূলের অত্যাচার সহ্য করে আর থাকতে চাইছে না মানুষ৷ ৭৫ বছরে কোনও উন্নয়ন হয়নি৷ সেই দাবি জনদা তুলে ধরেছেন৷’ তাঁর আরও সংযোজন, উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহল যদি পৃথক রাজ্য চায় তার দায় নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷
আরও পড়ুন: ইউ টার্ন দিলীপের, জন বার্লার বাংলা ভাগের দাবিকে সমর্থন
একুশের ভোটে তৃণমূলের কাছে গোহারা হওয়ার পর বিজেপি নেতারা বঙ্গভাগের দাবি তুলতে থাকে৷ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গকে ভাগ করে আলাদা রাজ্যের দাবি জানান আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা৷ অন্যদিকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, জঙ্গলমহল এবং রাঢ়বঙ্গ নিয়েও আলাদা রাজ্যের দাবি জানান বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ৷ দুই সাংসদের দাবি ঘিরে তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্যে৷ সৌমিত্র ও জন বার্লার বিরুদ্ধে একাধিক থানায় দায়ের হয় অভিযোগ৷
কিন্তু পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে সরে আসেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ বলেছিলেন, ‘উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি থেকে সরছি না৷ এটা এখানকার মানুষের দাবি৷ প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির কাছে যাব৷ দলের রাজ্য নেতাদেরও বোঝাব৷’ তখন দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, এটা তাঁর ব্যক্তিগত মত৷ দলের মত নয়৷