কলকাতা: কাশীপুরে বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে। কলকাতা হাইকোর্ট জনস্বার্থ মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের আরও নির্দেশ, গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। আরজি কর হাসপাতাল থেকে দেহ যাতে নিরাপদে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে কলকাতার পুলিস কমিশনারকে।
শুক্রবারের মধ্যেই ময়নাতদন্ত করতে হবে বলে আদালত জানিয়ে দিয়েছে। মৃতের পরিবার যাতে উপযুক্ত নিরাপত্তা পায়, কলকাতার পুলিস কমিশনারকে তাও দেখতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার। ওইদিন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং কেস ডায়রি আদালতে পেশ করতে হবে বলে নির্দেশ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চের। আদালত বলেছে কল্যাণী এইমসের যদি কোনও বিশেষজ্ঞ ময়নাতদন্তের সময় থাকতে পারেন, তবে ভাল হয়। আরজি কর হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের এক বিশেষজ্ঞকেও থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ময়নাতদন্তের সময় আলিপুরে থাকতে হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে।
এদিন কাশীপুর থেকে মৃত অর্জুনের মাকে কার্যত বগলদাবা করে হাইকোর্টে নিয়ে যান বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। তার আগেই প্রধান বিচারপতির এজলাসে জনস্বার্থ মামলা করার আবেদন জানান সুবীর সান্যাল। প্রধান বিচারপতি মামলা করার অনুমতি দেন।
আরও পড়ুন: Kashmir Encounter: পহেলগাঁওয়ে এনকাউন্টারে খতম শীর্ষ হিজবুল কমান্ডার আশরফ-সহ ৩ জঙ্গি
মামলার শুনানিতে বিজেপির আইনজীবী সুবীর সান্যাল জানান, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় অর্জুনের উপরেও অত্যাচার হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, পুলিস লাঠি চালিয়ে জোর করে মৃতদেহ তুলে নিয়ে যায়। আইনজীবীর দাবি, যেকোনও এইমসের হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হোক। সরকারি আইনজীবী বলেন, মৃতদেহ আরজি কর হাসপাতালে আছে। সেখানেই কোনও ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা জজের উপস্থিতিতে ভডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে ময়নাতদন্ত হোক। বিজেপির আইনজীবী সুবীরের প্রস্তাব, কল্যাণীর এইমস বা আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হতে পারে। বিজেপির অপর আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল মনে করিয়ে দেন, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় ফুলবাগানে নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত আদালতের নির্দেশে কমান্ড হাসপাতালে হয়েছিল। দুপক্ষের সওয়াল শেষে আদালত নির্দেশ দেয়, শুক্রবারই আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করতে হবে।