কলকাতা: সোমবার তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে (Foundation Day of Trinamool) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দলের শীর্ষ নেতারা মেতেছিলেন বাগযুদ্ধে। মাস দেড়েক আগে খোদ অভিষেকই দলের মধ্যে নবীণ-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে বিতর্কের সূচনা করেছিলেন। পরে তাঁর হয়ে ব্যাট ধরতে নামেন রাজ্য মুখপাত্র কুণাল। তিনিও বলেন, নতুন প্রজন্মকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রবীণ বলেই সাত খুন মাপ হতে পারে না। দলের এই নবীণ-প্রবীণ দ্বন্দ্বকে (Trinamool Conflict) এবার নিশানা করলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃ ভ্রমণে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, কোনও দলের যদি ভাবাদর্শ বা বড় কোনও উদ্দেশ্য না থাকে, তাহলে সেইদল বেশিদিন টেকেনা। তৃণমূলের অবস্থা সেইরকম বেল উল্লেখ করেন তিনি। বিজেপি সাংসদ বলেন, মানুষ সিপিআইএমের অত্যাচার থেকে বাঁচার হাতিয়ার হিসেবে এদের এনেছিল। কেবল ক্ষমতা এবং টাকা যদি কোনো পার্টির উদ্দেশ্য হয়, তাহলে তার কি পরিনতি হয় আমরা দেখতে পাচ্ছি।
টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া পাপ, ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) গতদিনের এই মন্তব্যের জবাবে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ভোট এলে এরকম হয়। একটু ক্ষমা টমা চায়। সিবিআই ইডি কাজ করলে বা চোর ধরলে রাস্তায় নামেন কেন? প্রশ্ন তোলেন তিনি। দোষীদের আড়াল করা বন্ধের হুঁশিয়ারি শোনা যায় তাঁর মুখে। ২০২৪-এর নির্বাচনে জনসংযোগে তৃণমূলের জোর প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, এসব কর্মসূচি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগে প্রচুর ঘোষণা করেছেন। এগুলো সাংবাদিকদের খবর করার জন্য ঠিক আছে। তৃণমূল (TMC) পার্টিটাকে আগে বাঁচানোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া পাপ, মানলেন ফিরহাদ
মঙ্গলবার কামদুনি রায় প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “জঘন্য অপরাধ। প্রতিবিধান করার চেষ্টা হয়েছে। আমরাও আন্দোলন করেছি। সরকার চুপ করে গেছে। তারা লড়াই করছেন। আমরা পাশে আছি। আইনি সমর্থন করছি।” ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধন প্রসঙ্গে, তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের লোক ২২ জানুয়ারির দিকে তাকিয়ে আছে। পয়লা জানুয়ারি আসলে ব্রিটিশ ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন। আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। গৌরবের দিন ২২ জানুয়ারি। সারা দুনিয়া দেখবে ভারতে সেদিন কী হয়।
আরও খবর দেখুন