কলকাতা: ভূপতিনগরে এনআইএর (NIA) উপর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের দাবি তুলল বিজেপি (BJP)। শনিবার রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র এবং সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার পর এদিন ভূপতিনগরে এনআইএর অফিসাররা যেভাবে নিগৃহীত হলেন, তাতে রাজ্যের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তাঁর অভিযোগ, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনার ফলে তৃণমূল কর্মীরা এনআইএর উপর হামলা করার সাহস পেয়েছে। শমীক বলেন, এই অবস্থায় রাজ্যে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ ছাড়া উপায় নেই। এদিনই নির্বাচন কমিশন ভূপতিনগর নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে।
এদিকে রাজ্য বিজেপি ভূপতিনগরের ঘটনার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজি, আইজি, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা), পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার, কাঁথির এসডিপিও এবং ভূপতিনগরের ওসির অপসারণ চেয়েছে। এদিন বিজেপির এক প্রতিনিধিদল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে এই দাবি জানায়। তারা সিইওকে স্মারকলিপিও দেয়। স্মারকলিপিতে বিজেপির আরও অভিযোগ, শুক্রবার উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন সভায় মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন, তাতেই এদিন ভূপতিনগরের ওই ঘটনা ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী এর দায় এড়াতে পারেন না।
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে রাজ্যে একশো শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী
শনিবার ভোরে ভূপতিনগরে বিস্ফোরণ-কাণ্ডে দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করলে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা এনআইএ অফিসারদের উপর হামলা করে। সন্দেশখালির মতো এখানেও মহিলাদের বিক্ষোভের সামনে রাখা হয়েছিল। উত্তরবঙ্গের তপন এবং বালুরঘাটে নির্বাচনী সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, এনআইএ মহিলাদের উপর হামলা করেছে। মাঝরাতে ঘরে ঘরে গিয়ে হামলা করলে মহিলারা কি হাতে শাঁখা, বালা পরে, মাথায় ওড়না দিয়ে বসে থাকবে? তারা নিজেদের ইজ্জত বাঁচাতে এগিয়ে আসবে না?
আরও খবর দেখুন