অসুস্থ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। শনিবার ভোর থেকেই সমস্যা শুরু হয়। মিমির পেটে ব্যথা হচ্ছে। এছাড়া ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। রক্তচাপও বেশ কিছুটা কম। আপাতত বাড়িতেই আছেন তিনি। সকালে চিকিৎসক মিমিকে পরীক্ষা করে দেখেছেন। তাঁর পরামর্শেই ওষুধ নিয়েছেন মিমি।
দিনকয়েক আগেই কসবা ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প থেকে ভুয়ো টিকা নিয়েছিলেন তিনি। তার চারদিনের মাথায় আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি। তবে কী কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মিমির পাশাপাশি কসবার ভুয়ো ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন বহু মানুষ। মিমি অসুস্থ হয়ে পড়ায় উদ্বেগ রয়েছেন তাঁরাও।
আরও পড়ুন: কাচে মোড়া ট্রেনে মুম্বই টু পুণে
অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, শরীরে ভুয়ো টিকা গিয়েছে এই খবর জানার পর থেকেই উদ্বিগ্ন ছিলেন সাংসদ। একাধিক টেস্টও করিয়েছিলেন তিনি। এদিন সকালে চিকিৎসক মিমিকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেও রাজি হননি তিনি। আপাতত বাড়িতে থেকেই চলছে চিকিৎসা।
কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিন কেন্দ্রের পর্দা ফাঁস করেছেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। ভুয়ো ‘আইএএস’ অফিসার দেবাঞ্জন দেবের উদ্যোগে আয়োজিত ক্যাম্প থেকে টিকা নেন মিমি। পরে জানা যায়, ভ্যাকসিনের বদলে হচ্ছে পাউডারের সঙ্গে জল মেশানো তরল পদার্থ কিংবা অ্যামিকেসিন দেওয়া হয়েছে তাঁকে। মিমির অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমে পুলিশ দেবাঞ্জনকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: ভালো আছেন মিমি
এরপর পুলিশ তাঁকে জেরা করে জানতে পারে কসবা ছাড়াও উত্তর কলকাতার একটি কলেজে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প আয়োজন করেছিলেন দেবাঞ্জন। ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের তদন্তে ডেপুটি কমিশনার এবং গোয়েন্দা বিভাগের তরফ বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে। দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করতে শনিবার আলিপুর আদালতে আবেদন জানাবে সিট।
ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে দেবাঞ্জন ছাড়াও আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ তাঁদের গ্রেফতার করেছে। ধৃতরা হলেন সুশান্ত দাস, শান্তনু মান্না ও রবীন শিকদার। তিনজনই ভ্যাকসিন কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের সংস্থায় কাজ করতেন। ধৃতদের জেরা করে এই চক্রে আর কেউ জড়িত কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সুশান্ত দাস ও রবীন শিকদার কলকাতা পুরসভার ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সই করতেন। শান্তনু মান্না বিভিন্ন ক্যাম্প আয়োজন করতেন।
আরও পড়ুন: প্রভাসের দাম ১০০ কোটি
দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে আরও তিনটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। একটি প্রাইফেট ফার্মের ১৭২ জনকে ‘ভ্যাকসিন’ দিয়েছিল দেবাঞ্জনের সংস্থা। ওই ফার্মের থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কলকাতা পুরসভার নথি দেখিয়ে স্টেডিয়াম তৈরির নাম করে একজন কনট্রাক্টরের ৯০ লক্ষ টাকা নেওয়ারও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এছাড়া টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে একটি ফার্মা কোম্পানির কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে মূল পান্ডা দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে।