গোটা বিশ্বের প্রায় ৫০ কোটি (৫০০ মিলিয়ন) হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারের (WhatsApp User) ডেটা চুরি করা হয়েছে এবং তা আবার বিক্রি হচ্ছে একটি প্রখ্যাত হ্যাকিং কমিউনিটি ফোরামে (hacking Community Forum)। সাইবারনিউজ (Cybernews) নামে একটি সংবাদমাধ্যমে এই খবর জনসমক্ষে এনেছে। চুরি হওয়া ডেটা (Data) সবটাই চলতি বছরের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, মিশন, ইতালি ও ভারত সহ বিশ্বের ৮৪টি দেশের ৪ কোটি ৮৭ লক্ষ (৪৮৭ মিলিয়ন) অ্যাক্টিভ ইউজারের গোপন তথ্য চলে গিয়েছে হ্যাকারদের (Hacker) হাতে।
রিপোর্ট বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারদের যে ডেটাবেস চুরি হয়েছে, তাতে ফোন নম্বর ফাঁস হয়ে গিয়েছে ৩২ মিলিয়ন মার্কিন নাগরিকের, অন্যদিকে ব্রিটেনের ১১.৫ মিলিয়ন ইউজারের ডেটা চলে গিয়েছে হ্যাকারদের হাতে। তবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে মিশরের। সেদেশের ৪৫ মিলিয়ন ইউজারের ডেটা চুরি গিয়েছে। এদিকে ইতালির ৩৫ মিলিয়ন ইউজারের ফোন নাম্বারের নাগাল পেয়েছে হ্যাকার। এই তালিকায় পরবর্তী দুই দেশ হল রাশিয়া (Russia) এবং ভারত (India)। প্রায় ১ কোটি (১০ মিলিয়ন) রাশিয়ান নাগরিকের তথ্য ফাঁস হয়েছে। সাম্প্রতিক এই ডেটা হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন ৬০ লক্ষ (৬ মিলিয়ন) ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ ইউজার।
আরও পড়ুন: Sohag Jaal: আসছে নতুন ধারাবাহিক ‘সোহাগ জল’
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি অনুযায়ী, সারা বিশ্বের মোট ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) হোয়াটসঅ্যাপ ইউজার রয়েছে। যার মধ্যে ভারত সবচেয়ে বড়ো বাজার। এখানেই সবচেয়ে বেশি অ্যাক্টিভ হোয়াটসঅ্যাপ ইউজার রয়েছে গোটা বিশ্বের মধ্যে। ২০০ কোটি অ্যাক্টিভ ইউজারের বিচারে ৫০ কোটি ডেটা চুরি যাওয়ার অর্থ এক চতুর্থাংশ ইউজার ভুক্তভোগী। জানা গিয়েছে, মার্কিন ডেটাবেস ৭ হাজার ডলারের বিনিময়ে বিক্রি হচ্ছে। ব্রিটেন এবং জার্মানির ডেটাবেস যথাক্রমে আড়াই হাজার ও ২ হাজার মার্কিন ডলারের বিনিময়ে উপলব্ধ ইচ্ছুক ক্রেতাদের জন্য।
উল্লেখ্য, মেটা (Meta) কিংবা মেটা পরিচালিত কোনও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ডেটা চুরি যাওয়া কিংবা ডেটা ফাঁসের (Data Leak) বিতর্ক এটাই প্রথম নয়। এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। গত বছর ১০০টি দেশের ৫৩৩ মিলিয়ন ফেসবুক ইউজারের (Facebook User) ডেটা ফাঁস হয়েছিল। তার মধ্যে ভারতে ভুক্তভোগীর সংখ্যা ছিল ৬০ লক্ষ অ্যাক্টিভ ইউজার। ফেসবুক ইউজারের ফোন নাম্বার ও ইউজার আইডি ২০ মার্কিন ডলার (একটি) অথবা ৫০০০ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে বাল্ক হিসেবে বিক্রি হচ্ছিল টেলিগ্রাম বটের (Telegram Bot) মাধ্যমে। তার আগে ২০১৯ সালে ৪১৯ মিলিয়ন ফেসবুক ইউজারের ডেটা এবং ৪৯ মিলিয়ন ইনস্টাগ্রাম ইউজারের (Instagram) ডেটা অনলাইনে ফাঁস হয়েছিল।