ইউরোপ (Europe), দক্ষিণ আমেরিকার (South America) পর এবার ভারতেও (India) জারি হলো বাধ্যবাধকতা। যে কোনও চার্জিং ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের জন্য এবার থেকে একই ধরনের চার্জার (One Type of Charger) ব্যবহার করতে হবে। এই মুহূর্তে বাজারে উপলব্ধ যে কোনও চার্জারের মধ্যে ইউএসবি টাইপ-সি চার্জার (USB Type-C Charger) সবচেয়ে ফাস্ট (Fast)। আজকাল আমাদের কাছে কম-বেশি দু’টো মোবাইল (Mobile) তো থাকেই। অনেক আইফোন (iPhone) ব্যবহারকারীই অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন (Android Smartphone) ব্যবহার করেন। শুধু স্মার্টফোন কেন আজকাল আমরা অনেক কিছুই ডিজিটাল ডিভাইস (Digital Devices) ব্যবহার করি। ফলে বাইরে বেরনো মানেই সঙ্গে একাধিক চার্জার রাখা। আর তাতে ঝামেলাও প্রচুর। এই কথা মাথায় রেখেই এখন প্রায় সব ব্র্যান্ডই তাদের নির্মিত পোর্টেবল ডিভাইসের (Portable Device) জন্য আসতে আসতে ইউএসবিসি চার্জার দিকে ঝুঁকছে। কারণটা হলো ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধা, পাশাপাশি একাধিক চার্জার বহন করার ঝামেলা থেকে মুক্তি।
ব্যবহারকারীদের সুবিধা
ভারত সরকারের টাস্ক ফোর্স (Task Force) ভারতীয় ইউজারদের জন্য সমস্ত ফোনে ডিফল্ট চার্জার হিসেবে ইউএসবি টাইপ-সি ব্যবহারে সম্মতি দিয়েছে। ফলে স্মার্টটফোনের জন্য একটাই স্ট্যান্ডার্ড চার্জার হবে, দরকার লাগবে না একাধিক চার্জার বহন করার। ফোনের পাশাপাশি ট্যাব (Tablet), ল্যাপটপ (Laptop) এবং অন্যান্য পোর্টেবল ডিভাইসের জন্য একই ধরনের চার্জার ব্যবহার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইউএসবিস টাইপ-সি আইফোন
আইফোন ছাড়া তাদের বাদবাকি সমস্ত প্রোডাক্টেই এখন ইউএসবি টাইপ-সি চার্জিং পোর্ট (USB Type-C Charging Port) অন্তর্ভুক্ত করেছে অ্যাপল (Apple Inc.)। সম্প্রতি বাজারে আসা বাজেট আইপ্যাড (iPad 1oth Gen)-এও টাইপ-সি চার্জার অন্তর্ভুক্ত করেছে অ্যাপল। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (European Union) বলেই দিয়েছে, ২০২৪ সালে ইউরোপে ফোন বিক্রি করতে হলে সমস্ত ফোন নির্মাতা সংস্থাকে ইউএসবি টাইপ-সি চার্জারের সুবিধা দিতে হবে। অ্যাপলের জন্যও পক্ষান্তরে হুঁশিয়ারি এটি। কারণ অন্যান্য ফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলি ইউএসবি টাইপ-সি চার্জার বেছে নিলেও অ্যাপল এখন লাইটনিং পোর্ট (Lightning Port) ব্যবহার করা ছাড়েনি। অতএব, ২০২৩ সালের আইফোন সিরিজের মডেলে অ্যাপলকে ইউএসবি টাইপ-সি চার্জিং পোর্ট দিতেই হবে।
কমবে ই-বর্জ্য
টেক জায়ান্ট অ্যাপল (Apple) সবার প্রথম ফোনের সঙ্গে অ্যাডাপ্টর দেওয়া বন্ধ করেছে। প্রথমে তারা সমালোচিত হলেও, পরবর্তীকালে স্যামসাং (Samsung)-এর মতো বড়ো ব্র্যান্ডও সেই পথে হেঁটেছে। আগামী দিনে অন্যান্য ফোন নির্মাতারাও একই পথে চলবে। এর সবচেয়ে বড়ো কারণ হলো একই রকম চার্জিং পোর্ট ব্যবহারের সুবিধা হল, নতুন ফোন কিনলে ইউজার পুরনো চার্জারই ব্যবহার করতে পারবেন। এর ফলে বিপুল ই-বর্জ্য তৈরি হওয়া আটকানো যাবে এবং পুরনো প্রোডাক্ট সহজেই রিসাইকেল (Recycle) করা যাবে। ২০৭০ সালের মধ্যে ভারত শূন্য শতাংশ কার্বন নির্গমন (Zero Percent Carbon Emission)-এর লক্ষ্য নিয়েছে। সেই উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ।
