কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকাণ্ড মহিলাদের যুক্ত করুক তালিবান। এবার এমনই দাবি তুলে সরব হলেন আফগানিস্তানের মহিলারা।
দেশের নতুন সরকার যেই করুক না কেন মহিলাদের অস্বীকার করতে পারবে না। আমরা আমাদের শিক্ষার অধিকার ছাড়বো না । পাশাপাশি পেশার অধিকার রাজনীতি এবং সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ থেকে পিছিয়ে আসবেনা মহিলারা। নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে রাজি নয় আফগান মহিলারা। রীতিমতো এমন সুরেই আফগানিস্তানের আসন্ন সরকারকে এক রকম বার্তা দিলেন নারী অধিকার কর্মী রাহিমা রদমনেশ।
শুধু বক্তব্যে নিজেদের দাবি জানান নি মহিলারা। শনিবার কাবুলের রাজপথে প্ল্যাকার্ড হাতে নিজেদের অধিকারের দাবি তুলে সড়ক হতে দেখা গেল একদল মহিলাকে।
আরও পড়ুন: কাবুল থেকে বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে দেশে ফিরলেন ১০৭ জন ভারতীয়
মার্কিন বাহিনীর প্রবেশের পর গত দু’দশক ধরে পশ্চিমী সভ্যতার ছোঁয়া লেগেছে আফগান নারী সমাজে। যার জেরে অনেকটাই প্রগতিশীল হয়েছে আফগান নারীদের জীবনের ধরণ। বদলেছে সামাজিক গতিপ্রকৃতি। আফগান মহিলারা এখন অনেক কি পরিবারের চাহিদায় কাজ করছেন অফিসে দোকানে কিংবা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র। তাই দু’দশক বাদে তালিবান ক্ষমতায় এলেও কোন ভাবে তাদের প্রগতিশীলতাকে স্তব্ধ করতে পারবে না। দাবি ওই প্রতিবাদ মহিলাদের।
যদিও আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের আগেই নারীদের স্বাধীনতা নিয়ে ইতিবাচক সুর শোনা গিয়েছিল তালিবানের গলায়। ইসলামী শরিয়া অনুশাসনের মধ্যে থেকেই নারীদের কাজের স্বাধীনতার কথা বলেছিল তাঁরা। কিন্তু ক্ষমতা দখলের পর বহু ক্ষেত্রেই সেই বিষয়টি নজরে আসছে না।
আরও পড়ুন: কো-এডুকেশনে ফতোয়া তালিবানের, উচ্চশিক্ষায় বঞ্চিত হবেন মেয়েরা
সম্প্রতি হেরাত প্রদেশে এ কো-এডুকেশন ব্যবস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তালিবান। তাদের দাবি কই লোকেশন শিক্ষা ব্যবস্থা আসলে একটি সামাজিক অপকর্ম। তাই হেরাতের এই প্রবণতা আগামী দিনে গোটা আফগানিস্তানের ছড়িয়ে পড়লে উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীরা প্রায় সম্পূর্ণ বঞ্চিত হবে বলেই মনে করে বিশেষজ্ঞ মহল।
এমন অবস্থায় তালিবানদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নারী স্বাধীনতার দাবি জানানো আফগানিস্তানের মাটিতে কতটা ফলপ্রসূ হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় থাকবে গোটা বিশ্ব।