কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: হেরাত প্রদেশের নির্দেশে অবশেষে বন্ধ হল আফগানিস্তানের কো-এডুকেশন ব্যবস্থা। সেখানকার তালিবান আধিকারিকদের ফতোয়া কোনভাবেই ছাত্রদের সঙ্গে এক কক্ষে বসে ক্লাস করতে পারবেন না ছাত্রীরা। প্রদেশের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিকে এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে তালিবান প্রশাসন।
শুক্রবার এই বিষয়ে তিন ঘন্টার একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে তালিবান আধিকারিকরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সরকারি বেসরকারি স্কুল-কলেজের অধ্যাপকেরা এবং প্রতিষ্ঠানের মালিকেরাও।
আরও পড়ুন: কাবুল এয়ারপোর্টের ভাইরাল ‘বেবি’ চিকিৎসার পর ফিরে এল বাবা মায়ের কোলে
আফগানিস্থানে মূলত দুই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত। প্রথমত কো-এডুকেশন ব্যবস্থা। দ্বিতীয়তঃ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক ক্লাস রুমের ব্যাবস্থা। যদিও সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে এই দু ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে সীমিত সংখ্যক ছাত্রী হওয়ায় সেখানে পৃথক ক্লাস রুমের ব্যাবস্থা করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। যার ফলে আগামী দিনে উচ্চশিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে বঞ্চিত হতে পারেন ছাত্রীরা। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আফগানিস্তানের উচ্চ শিক্ষা দফতরের প্রধান মুল্লা ফরিদ স্পষ্ট ভাষায় জানান, কো-এডুকেশন বন্ধ হওয়া জরুরী। শুধু তাই নয় কো-এডুকেশন ব্যবস্থাকে তিনি সমাজের একটি অপকর্ম বলেও দাবি করেন।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তান নিয়ে উদ্বিগ্ন, শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার আর্জি রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের
হেরাতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলিতে পৃথক ক্লাসের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। সেই কারণেই হাজারের ওপর ছাত্রী আগামী দিনে উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে বলেই মনে করছেন সেখানকার শিক্ষক মহল। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে দেশটিতে নারী শিক্ষার প্রসার। প্রতিষ্ঠিত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট ৪০ হাজারের ওপর পড়ুয়া রয়েছে। প্রদেশ শিক্ষকের সংখ্যা বর্তমানে দুই হাজারের ওপর।