কাবুল: দুই দশক পর আফগানিস্তানে তালিবান রাজ শুরু হয়েছে। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি-সহ একাধিক সাংসদ,সরকারি আধিকারিক দেশ ছেড়েছেন। হাজার হাজার মানুষ আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ভারতীয়-মার্কিনীদের ফিরিয়ে নিয়েছে দেশ৷ কিন্তু, এখনও পর্যন্ত রাশিয়া-চিন তাঁদের প্রতিনিধিদের দেশে ফেরায়নি৷ ফেরানোর কোনও প্রকার আভাস দেওয়া হয়নি৷ বরং, আফগানিস্তানে তালিবানি শাসনকে স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান-চিন৷ তা নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এছাড়াও, আফগানিস্থানে তালিবানকে স্বীকৃতিতে ৬৭টি দেশ অস্বীকার করেছে৷
আরও পড়ুন- Breaking: আফগানিস্তানে আটক মার্কিন-আফগানদের উদ্ধারে আরও ১০০০ সেনা পাঠাচ্ছে আমেরিকা
As #Taliban spokesman declared on Sun the war was over in #Afghanistan, here's video of former US President Gerge W. Bush claiming in 2001 "the Taliban regime is coming to an end". https://t.co/NZ1Be7HYR7
— Global Times (@globaltimesnews) August 16, 2021
আফগানিস্তানে তালিবান রাজ কায়েম হতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ রাষ্ট্রপুঞ্জেরও৷ তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় রাশিয়া-পাকিস্তান৷ তাঁদের প্রতিনিধিরা স্পষ্ট জানিয়েছে, আর সেনার পাঠানো হবে না৷ ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফের আলোচনা হয়েছে আফগানিস্তানের সঙ্গে৷ যে কোনও রকমের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সীমান্তে সেনা বাড়ানো হয়েছে৷ রাশিয়া যুদ্ধবিমান পাঠাবে বলেও জানা যাচ্ছে৷ অবস্থান পরিবর্তন করে তালিবানদের সঙ্গে পাকিস্তান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা জানিয়ে৷
আরও পড়ুন- আফগান নাগরিকদের স্বার্থরক্ষায় তালিবানকে ‘মানবিক’ হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রসঙ্ঘের
রাষ্ট্রসংঘে চিনের স্থায়ী প্রতিনিধি: গত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে আল-কায়দা এবং আইএসের মতো জঙ্গি সংগঠন বেড়ে উঠেছে। যা আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বড়সড় ঝুঁকি বিপদ তৈরি করেছে। আফগানিস্তান কখনও জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য হতে পারে না।
আরও পড়ুন- তালিবানদের সমর্থনে কথা বলে বিতর্কে জড়ালেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
বিশেষজ্ঞদের মতে, তলেতলে তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে চিনের। আমেরিকাকে কোণঠাসা করতে পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠীকে হাতিয়ার ও অর্থ জোগান দিয়েছে বেজিং।
চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই গত জুনের ২৮ তারিখ তিয়ানজিনে নয় সদস্যের তালিবান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। তালিবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা আফগানিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোল্লা আবদুল ঘানি বারাদার ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন। ঠিক তেমনি, চিন তার ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পে আফগানিস্তানকে শামিল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ সমস্ত কারণেই তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করে পূর্ব-এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে চিন।