ওয়াশিংটন: ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী (Citizenship Amendment Act) আইন চালু হয়েছে গত ১১ মার্চ। দেশের অভ্যন্তরে কেউ এই আইনের পক্ষে, আবার কেউ সরাসরি বিরোধিতা করছেন, এমনকী এই আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছেন কেউ কেউ। সিএএ নিয়ে এবার আশঙ্কা প্রকাশ করল আমেরিকাও (USA)। তারা জানিয়েছে, বিতর্কিত এই আইন কীভাবে প্রণয়ন হয় সেদিকে নজর রাখবে তারা।
আমেরিকার স্বরাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার (Matthew Miller) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “১১ মার্চ নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন চালু নিয়ে আমরা চিন্তিত। কীভাবে এই আইন প্রণয়ন হবে সেদিকে আমাদের কড়া নজর থাকবে। ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং আইনত সমস্ত সম্প্রদায়ের প্রতি সমান আচরণ মৌলিক গণতান্ত্রিক নীতি।” আমেরিকার হিন্দুত্ববাদী দলগুলি সিএএ-কে সোৎসাহে স্বাগত জানিয়েছিল। তার পরেই এই বিবৃতি দিল জো বাইডেনের (Joe Biden) সরকার।
আরও পড়ুন: আমেরিকাকে পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি রাশিয়ার
সিএএ (CAA) আইনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই আইন নিয়ে বিরোধীদের প্রতিবাদের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ভারতে বসবাসকারী মুসলিমদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে। কেন্দ্র বারবার বলে এসেছে, সিএএ শুধুমাত্র নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, ছিনিয়ে নেওয়ার নয়।
এদিকে ভারতের সিএএ আইনকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে আপত্তি জানিয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেছেন, “স্পষ্টতই এই আইন বৈষম্যমূলক কারণ এতে মানুষকে তার ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে পার্থক্য করা হয়েছে। এই এলাকার মুসলিম দেশগুলিতে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হয় এবং ভারত সংখ্যালঘুদের জন্য নিরাপদ স্বর্গ, এই ভ্রান্ত ধারণার উপর দাঁড়িয়ে এই আইন তৈরি হয়েছে।”
দেখুন অন্য খবর: