কাবুলঃ তালিবানি শাসনে বিধ্বস্ত আফগানিস্তান। দেশের বিমান পরিষেবা থেকে সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা, সবটাই এখন তালিবান গোষ্ঠীর হাতের মুঠোয়। এরই মাঝে দেশজুড়ে কড়া শাসন চালাচ্ছে তালিবানরা। যার কবোল থেকে বাঁচেনি আফগানি সংবাদ সংস্থা কিংবা কর্মীরাও।
মহিলা সাংবাদিক শবনম খান ডরান পেশায় একজন সংবাদকর্মী। তিনি জানিয়েছেন বর্তমানে আফগানিস্তানে কোনও মহিলা বাইরে কাজের জন্য বের হতে পারছে না। প্রাণ নাশের ভয়ে কাজবাজ ছেড়ে বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে তাদের। ফলে পরিস্থিতি ক্রমাগত ভয়াবহ হয়ে উঠছে। পরিষ্কার আফগানিস্তানে তালিবানি ক্ষমতা কতটা বিস্তার লাভ করেছে। যেখানে মেয়েদেরকে পণ্যের থেকে কম কিছু ভাবা হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন এই সংবাদকর্মী। তাই তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছে একজন সাংবাদিককর্মী হিসেবে এই পেশার সম্মান রক্ষার্থে কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি ।
আরও পড়ুন বাবা-মায়ের হাত ছেড়ে অজানা দূর দেশে পাড়ি, কাবুল থেকে পালিয়ে অনাথ হাজারো শিশু
শবনম খান, পেশায় একজন টেলিভিশন এর সঞ্চালিকা। তাঁর অভিযোগ তালিবান গোষ্ঠী সেখানকার কোন মহিলাকে শান্তিতে কাজ করতে দিচ্ছে না বরং তাদের ভয়ে সকলেই ভীত। যে কারণে তাদের কাজে বাধা পড়ছে। এরই পাশাপাশি আরেকজন সংবাদকর্মী জানিয়েছেন, তালিবান সম্পূর্ণভাবে তাদের কাজ বাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তাই তালিবানদের কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি লিখেছেন,’ আমি কর্মক্ষেত্র পৌঁছতে চাই। কিন্তু সেটা কোনও ভাবেই সম্ভব হচ্ছেনা তালিবান গোষ্ঠীর অত্যাচারের ভয়ে। আমার পাশাপাশি একাধিক কর্মীরাই এভাবেই সমস্যায় পড়ছেন।’
আরও পড়ুন কাবুল থেকে তিন বছর পর দেশে ফিরল মায়া, ববি, রুবিরা
এ বিষয়ে আবেদন জানানো হলেও আপাতত তালিবান গোষ্ঠীর তরফে কোনও আশ্বাস মেলেনি। তবে তারা জানিয়েছে খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করবে। কিন্তু তালিবান গোষ্ঠীর এই সিদ্ধান্ত অন্যান্যদের কতটা আশ্বস্ত করবে তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংবাদকর্মী খাদিজা।
নারীদের সুরক্ষা এবং অধিকার প্রদান ইসলামিক ধর্মের একটি মুল বিষয়। তার ভিত্তিতেই তালিবানরা প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। ফলে মহিলারা যেকোন ক্ষেত্রেই কাজ করতে পারবে তাদের প্রয়োজন মতো। যেখানে কোনও বৈষম্য থাকবে না। পাশাপাশি পুনরায় কর্ম ক্ষেত্রে কোনও বাধা ছাড়াই যোগ দিতে পারবে বলে জানানো হয়েছে গোষ্ঠীর মুখপাত্রের তরফে।