কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছে আফগানিস্তানের মাটিতে। কয়েক মাসের ওপর পেরিয়ে গেলেও সংঘাত কমার কোনও লক্ষনই নেই। বরং প্রতিদিনই বাড়ছে আফগান তালিবান সংঘাতের উত্তাপ। তালিবানকে আফগান ভূমি থেকে বিলুপ্ত করতে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করছে আফগান সেনা। আর তার প্রতিশোধ নিতেই এবার আফগান সরকারের মিডিয়া বিভাগের প্রধানকে হত্যা করল তালিবান।
শুক্রবার রাজধানী কাবুলের এক মসজিদে গুলি করে খুন করা হয় মিডিয়া ইনফরমেশন সেন্টারের প্রধান দাওয়া খান মেনাপালকে। ঘটনার পরেই হত্যার কথা স্বীকার করেছে তালিবান। যদিও তারপরে তালিবানের এই দাবি স্বীকার করে আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর থেকেই আফগানিস্তানের ক্রমশ আগ্রাসী হয়ে উঠেছে তালিবান। ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে আফগান সেনাকে দেশের বিভিন্ন প্রদেশে কোণঠাসা করেছে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। তেমনই শুক্রবার আফগানিস্তানের নিম্বুজ প্রদেশ দখল করল তালিবান।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাশ্মীর
মার্কিন ও ন্যাটো সেনার রিইনফর্সমেন্টের অভাবেই এই বড়সড় ধাক্কা খেলো আফগান সেনা। তবে আফগান সরকারের মিডিয়া প্রধানের হত্যার মধ্য দিয়ে রাজধানী কাবুলেও এবার প্রথমবার পায়ের ছাপ ফেলল তালিবান। এমনটাই মনে করছে আফগান রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, গত সোমবার আফগান সেনাবাহিনীর হামলায় খতম ২৫৪ জন তালিবান জঙ্গি। গজনী কান্দাহার হেরাত, ফারহা, বাল্ক ও হেলমন্দ, বাঘলান, এবং কাবুলে দফায় দফায় অভিযান চালায় আফগান বাহিনী। আর এই আফগানি অভিযানে খতম ২৫৪ তালিবান।
মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর দেশের ক্ষমতা দখলের জন্য আশরাফ ঘানি সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তালিবান। সে যুদ্ধে ইতিমধ্যেই দেশটির প্রায় ১৯৩ টির বেশি জেলা দখল করে নিয়েছে তালিবানরা। দখল নিয়েছে উত্তর-পূর্বের তাকহার প্রদেশও। যা স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে আফগান বিদেশমন্ত্রক। তারপর বিগত কয়েকদিনে বদখশান হেরাত ফারহার মতো প্রদেশগুলো দখল করে নেয় তালিবানরা। তারপর দখলীকৃত এলাকা গুলির সমস্ত যোগাযোগ, যান চলাচল অবরুদ্ধ করে দেয় তাঁরা। আফগান প্রশাসনের সঙ্গে বেকায়দায় পড়তে হয় আফগান নাগরিকদেরকেও।
আরও পড়ুন: উপত্যকায় সেনার অপারেশনে নিকেশ জঙ্গি
এবার আফগানিস্তানের নিম্বুজ প্রদেশ তালিবানের দখলে আসায় আফগান সরকারের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়ল বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিকমহল ।