কাবুল: সমগ্র আফগানিস্তান এখন তালিয়াবনের নিয়ন্ত্রণে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন সমগ্র বিশ্ব। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। কিন্তু সেই সকল বিষয়কে গুরুত্ব দিতে নারাজ তালিবান। সরাসরি ভারতকে হুঁশিয়ারি দিল বিশিষ্ট তালিবান নেতা শাহাবুদ্দিন দিলওয়ার।
তালিবানের দখলে আগেও ছিল আফগানিস্তান। দুই দস্ক আগে ওই দেশে সমাপ্ত হয় তালিয়াবন জমানা। সেই সময়ে ধর্মীয় আইন মেনে চলা তালিবান সমাজে মহিলাদের জন্য অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। ফের আফগানিস্তানে তালিবান শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার কারণে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
যদিও সেই সকল বিষয় নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবিত নয় তালিবান। যা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তালিবান নেতা শাহাবুদ্দিন দিলওয়ার। তিনি বলেছেন, “ভারত-সহ বিশ্বের সকল রাষ্ট্র খুব শীঘ্রই জানতে পারবে তালিবানরা যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে প্রশাসন পরিচালনা করতে পারবে।” আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যাতে ভারত নাক না গলায় সেই বিষয়েও সতর্ক করে দিয়েছে তালিবান নেতা শাহাবুদ্দিন দিলওয়ার।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে তালিবান নিয়ে মোদির মন্তব্যের এক সপ্তাহ পরে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তালিবান। মোদি টুইট করে লেখেন, “সন্ত্রাসের ভিত্তিতে একটি সাম্রাজ্য কিছু সময়ের জন্য আধিপত্য বিস্তার করতে পারে কিন্তু এর অস্তিত্ব কখনও স্থায়ী হয় না।” সেই সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, “ধ্বংসকারী শক্তি, যে চিন্তা সন্ত্রাসের ভিত্তিতে সাম্রাজ্য গড়ে তোলে, কিছু সময়ের জন্য প্রভাব বিস্তার করতে পারে, কিন্তু এর অস্তিত্ব কখনও স্থায়ী নয়, এটি মানবতাকে দীর্ঘকাল ধরে দমন করতে পারে না।”
আরও পড়ুন- প্রতারণা মামলায় ধৃত নাজিয়া’কে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী করতে চেয়েছিল বঙ্গ বিজেপি!
অন্যদিকে, আফগানিতান নিয়ে আপাতত ধীরে চলার নীতি নিয়েছে ভারত সরকার। আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠক করে ভারত সরকার। সেই বৈঠক শেষে বিদেশমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয় তালিবান নিয়ে ভারতের অবস্থান কী? যার জবাবে এস জয়শঙ্কর বলেছেন, “আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই বিষয়ে ভাবা যাবে।”
আরও পড়ুন- কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের ব্যবধান কমাতে চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র
রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকলেও জাতীয় স্বার্থে সবাই এক। আফগানিসান ইস্যুতে ভারতের শক্তিশালী জাতীয় অবস্থান রয়েছে। আফগানদের বন্ধুত্বের গুরুত্ব দেবে ভারত। বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠকের পরে এমনই জানালেন মোদি সরকারের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর কথায়, “আফগানিস্তান নিয়ে সরকার-সহ সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব একই অবস্থান নিয়েছি। আফগানিস্তান ইস্যুতে আমাদের একটা শক্তিশালী জাতীয় অবস্থান রয়েছে। আফগান নাগরিকদের সঙ্গে বন্ধুত্বের বিষয়টি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”