নানা নামজাদা ব্যক্তিত্বের তথ্য চুরি করে নিজের নামে লেখা প্রকাশের মত অপকর্ম প্রকাশ্যে এনে যথেষ্ট নাম কুড়িয়েছেন ইতিমধ্যে। কিন্তু রোমানিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ডক্টরেট থিসিসে অন্য কারওর তথ্য চুরি করে ঢোকানো হয়েছে কি না তার তদন্তে নেমে এবার বিলক্ষণ বিপদে পড়েছেন দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক এমিলা সারকান। গত সাত বছরে অন্তত ৫০টি এমন তথ্যচুরির ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছেন সারকান যারজেরে শোড়গোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। সেই সব ক্ষেত্রে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিচারক,
মন্ত্রী বা পরিচিত আইনজীবীরা। তাঁদের বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ, বই বা পিএইচডি-র পেপার প্রকাশ হওয়ার পর সারকান রীতিমত প্রমাণ দিয়ে দেখিয়েছিলেন ওই সব ক্ষেত্রে তথ্য চুরি হয়েছে।
এতদিন পর্যন্ত এমিলা সারকান-এর তদন্তমূলক সাংবাদিকতা ভালই চলছিল। কিন্তু এবার বেশ সমস্যায় পড়েছেন তিনি। দেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রাক্তন সেনাপ্রধান নিকোলা সিউকা-র ডক্টরেট থিসিস নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তোলেন ওই সাংবাদিক। গত জানুয়ারি মাসে একটি পত্রিকায় তাঁর লেখা তদম্তমূলক নিবন্ধে সারকতান অভিযোগ করেন,দেশের প্রধানমন্ত্রী ২০০৩ সালে তাঁর যে ডক্টরেট থিসিসটি জমা দিয়েছিলেন তার মধ্যে ৪২টি পাতার লেখা অন্য একটি প্রবন্ধ থেকে চুরি করা তথ্য।
আর তারপর থেকেই ক্রমাগত সামাজিক মাধ্যমে হুমকি আর নানা আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছেন ছেচল্লিশ বছরের এমিলা সারকান। কুরুচিকর ভাষায় লাগাতার আক্রমণ-এর পাশাপাশি নির্বিচারে হিংস্র ও বিদ্বেষমূলক প্রচার চলছে। তাঁর দশ বছর আগের প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে সোস্যাল মিডিয়ায়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে সারকান দুবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁর নিজের কথায় জীবনে কখনও এরকম হুমকি আর বিংস্র আক্রমণের মুখে পড়িনি। অবশ্য যাকে কেন্দ্র করে সংবাদ প্রকাশের পর এই লাগাতার আক্রমণ চলছে সেই নিকোলা সিউকার দাবি তিনি কোনওরকম ভাবে তথ্য চুরির সঙ্গে যুক্ত নন। আফগানিস্থান ও ইরাকে সেনা অভিযানের নেতৃত্ব দেওযা বছর পঞ্চান্নর প্রাক্তন সেনাপ্রধানের দাবি, তাঁর ডক্টরেট থিসিস পুরোপুরি মৌলিকগবেষণাধর্মী কাজ।