ওয়েব ডেস্ক: ভারতের (India) তরফে বাণিজ্যের দরজা বন্ধ হতেই ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ দশা পাকিস্তানের (Pakistan)। একদিকে পড়ছে শেয়ার বাজারের সূচক, অন্যদিকে হাটে-বাজারে জিনিষপত্রের দামও আকাশছোঁয়া (Pakistan Crisis)। যেখানে পারমাণবিক বোম নিয়ে এত কথা বলছেন পাকিস্তানে মন্ত্রী, সেখানে পাকিস্তানিদের না খেতে পাওয়ার দশা।
কারণ, ভারতের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য (Trade) বন্ধ, তাই এখন ঘুরপথে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামগ্রী পাঠাতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। অন্যদিকে ভারতের থেকে চাল, ফল, সবজি, চা, মশলা, চিনি, তৈলবীজ, পশুখাদ্য, ডেয়ারি পণ্য, প্লাস্টিক পণ্যের মতো যেসব সামগ্রী আমদানি করে পাকিস্তান, তাও এখন বন্ধ।
আরও পড়ুন: ভারতের পর বিদেশের একাধিক বিমান সংস্থা পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়াচ্ছে
এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের চিনির দাম কেজিপ্রতি ১৮০ রুপি, লেবুর দাম কেজিপ্রতি ১১০০ টাকা, ঘি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩০০০ টাকা দরে।
কিন্তু কেন এই মূল্যবৃদ্ধি? তথ্য বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির হার পৌঁছে গিয়েছে ৩০ শতাংশের কাছাকাছি। এদিকে আবার ১২৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঋণে ভারাক্রান্ত পাকিস্তানকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ সুদও দিতে হয়। পাশাপাশি, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও গত সপ্তাহে ১৫.৪৩৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এই অবস্থায় পাকিস্তানিরা খাবে নাকি যুদ্ধ করবে, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দেখুন আরও খবর: