কলকাতা টিভি ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের (COVID-19) তৃতীয় ঢেউ (Third wave) শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রশ্নটা উঠছে। এই অতিমারির (Pandemic) শেষ কোথায়? বিশেষজ্ঞদের দ্বিমতে এটা স্পষ্ট, তাঁরাও নিশ্চিত করে কিছু জানেন না। পুরোটাই অনুমান নির্ভর। কোভিডের ডেল্টা (Delta Plus) স্ট্রেনের থেকে ওমিক্রন কয়েক গুণ বেশি সংক্রামক হলেও সেই ‘ঘাতক’ বা ‘মারণ’ ক্ষমতা নেই। ডেল্টার মতো উপসর্গও প্রকট নয়। ঠিক এই জায়গা থেকে বিশেষজ্ঞদের একাংশ আগেই স্বস্তি প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, অতিমারি পর্যায় শেষ হতে চলেছে। ভাইরোলজিস্টদের আর একদল কিন্তু এখনও সতর্ক করে যাচ্ছেন নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট, স্ট্রেনের সংযোজন-বিয়োজনের কথা বলে। ডেল্টাক্রন, ডেল্টামিক্রন (Deltamicron), ফ্লুরোনা, আইএইচইউ-এর মতো স্ট্রেন নয়তো সংক্রমণ পরিস্থিতিও তাঁরা সামনে আনছেন। ফলত, সামনের দিনগুলিতে ঠিক কী পরিস্থিতি হতে চলেছে, তা নিয়ে ধন্দে বিশ্ববাসী। এমন একটা অবস্থায় দাঁড়িয়ে আবারও স্বস্তির কথাই শোনাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের drug watchdog-এর দাবি, ওমিক্রন সংক্রমণ কোভিড অতিমারিকে ‘এন্ডেমিক’-এর দিকে নিয়ে যাবে। অর্থাৎ, বিষদাঁত হারিয়ে এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে আর পাঁচটা ভাইরাসের মতোই থেকে যাবে কোভিড। আরও সহজ করে বললে, ওমিক্রন (Omicron) ভ্যারিয়েন্ট এসেই কোভিডকে ক্রমশ কোণঠাসা করছে। তবে, অতিমারি পরিস্থিতি থাকায় এই সংক্রমণকে হালকা ভাবে না নিয়ে, সতর্কই থাকতে বলছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ড্রাগ ওয়াচডগ’।
কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিনের চতুর্থ ডোজ দেওয়ার আদৌ প্রয়োজন রয়েছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (EMA)। ইএমইউ-এর অভিমত, ঘনঘন বুস্টার শট সংক্রমণ এড়ানোর স্থায়ী কোনও সমাধান নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (WHO) কিন্তু স্বীকার করেছে বুস্টার শট স্থায়ী সমাধান নয়। বদলে যাওয়া ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে নতুন ভ্যাকসিন চাই।
আরও পড়ুন : Omicron: ওমিক্রনেই কি অতিমারি কাটবে, সংক্রমণ বিস্ফোরণের মধ্যেও আশায় বিশেষজ্ঞরা
EMA-এর ভ্যাকসিন কৌশল বিষয়ক প্রধান মার্কো ক্যাভালেরির বক্তব্য, ‘কবে এই অতিমারি দুর্যোগ কাটবে, তা কারওরই জানা নেই। তবে, সাধারণ মানুষের মধ্যে ওমিক্রন সংক্রমণের মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে ইমিউনিটি বাড়ছে। সেইসঙ্গে বিশ্ব জুড়ে চলতে থাকা টিকাকরণ কোভিডকে ধরাশায়ী করে ফেলবে। খুব দ্রুত আমরা এন্ডেমিকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব, আগামী দু-মাসের মধ্যে গোটা ইউরোপের জনসংখ্যার অর্ধেক সংখ্যকই কোভিডে আক্রান্ত হবেন। ভারতেও রকেট গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে দৈনিক কোভিড সংক্রমণ।