কাবুল: গোয়েন্দাদের আশঙ্কা স্যতি করে জোড়া বিস্ফোরণ ঘটেছে কাবুল বিমানবন্দরে। ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে তালিবান। তাদের মধ্যে মার্কিন সেনাবাহিনীর একাধিক সদস্য রয়েছে বলে জানিয়েছে তালিবান।
বৃহস্পতিবার বিকালে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে শক্তিশালী বিস্ফোরণটি ঘটে৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটের বাইরে আত্মঘাতী হামলা হয়৷ ওই গেটের কাছেই রয়েছে মার্কিন মারিন এবং ব্রিটিশ বাহিনীর ক্যাম্প৷ ব্রিটেনের তরফ জানানো হয়েছে, তাদের বাহিনীর কেউ হতাহত হয়নি৷ আমেরিকা অবশ্য কিছু জানায়নি৷ তবে পেন্টাগনের সাংবাদিক সচিব কয়েকজন মার্কিন সেনার আহত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন৷
সেই ইঙ্গিতকে সত্য বলে দাবি করল তালিবান। রাতের দিকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে তালিবান জানায় যে কাবুল বিমানবন্দরের বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মার্কিন নাগরিক রয়েছেন। তবে তাঁরা সেনাবাহিনীর সদস্য কিনা তা স্পষ্ট করা হয়নি তালিবানের বিবৃতিতে। সেই সঙ্গে একাধিক শিশু ওই বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে তালিবান ।
আরও পড়ুন- কৃষক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে মৃত ১০৪ জনের পরিবারকে চাকরি দিচ্ছে পঞ্জাব সরকার
এদিন দু’টি বিস্ফোরণ হয়৷ একটি অ্যাবে গেটের বাইরে৷ দ্বিতীয়টি ব্যারন হোটেলের কাছে৷ এই কাবুল বিমানবন্দরের কাছে এই ব্যারন হোটেলে থাকছেন বিদেশি সেনা ও সাংবাদিকরা৷ ব্যারন হোটেলের বাইরে ব্যারন ক্যাম্প করা হয়েছিল৷ সেই ক্যাম্পে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়৷ অপরদিকে আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য যাঁরা অ্যাবে গেটের সামনে জড়ো হয়েছিলেন ঠিক সেই সময়ই আত্মঘাতী হামলাটি হয়৷
পেন্টাগনের পক্ষ থেকে অনেক আগেই এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। গোয়েন্দা সূত্রে তারা জানতে পেড়েছিল যে বিস্ফোরণ হতে পারে কাবুল বিমানবন্দরে। তারপরেই উদ্ধার কাজ বন্ধ করার ঘোষণা করে ফ্রান্স। একই পথে হাঁটার কথা ভাবছে নেদারল্যান্ড।