জেরুজালেম: ফোনে আড়ি পাতা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর থেকে খবরের শিরোনামে পেগাসাস স্পাইওয়্যার৷ ইজরায়েলি এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে একাধিক দেশের বহু নাগরিকের তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ৷ তার পর থেকেই প্রশ্নের মুখে ব্যক্তিস্বাধীনতা৷ কারওর অজান্তে ফোনের তথ্য হাতিয়ে নেওয়া গোপনীয়তা ভঙ্গের সামিল বলে দাবি যুক্তিবাদীদের৷ তাঁদের কাঠগড়ায় পেগাসাস নির্মাতা এনএসও৷ যদিও ইজরায়েলি সংস্থা মনে করে, ‘স্পাইগিরি’-তে অন্যায়ের কিছু নয়৷ বরং এই ধরনের টেকনোলজির জন্য মানুষ রাতে নিশ্চিন্ত ঘুমাতে পারেন৷
আরও পড়ুন: ইমরান খানের ফোন ট্যাপ করেছে ভারত, জাতিসংঘে অভিযোগ পাকিস্তানের
এনএসও-র দাবি, সন্ত্রাসবাদ বা অপরাধমূলক কাজে রাশ টানতেই পেগাসাস স্পাইওয়্যারের ‘জন্ম’৷ বিভিন্ন দেশের সরকারি এজেন্সি বা আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী সংস্থাকে তাদের তদন্তে সাহায্য করে এই সফটওয়্যার৷ পেগাসাস বা এই জাতীয় টেকনোলজির জন্য বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ রাতে নিশ্চিন্ত ঘুমাতে পারেন৷ রাস্তায় নিরাপদে হাঁটতে পারেন৷
সংস্থার তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, এনএসও এবং বিশ্বের অন্যান্য সাইবার ইনটেলিজেন্স কোম্পানিগুলি সরকারকে সাইবার ইনটেলিজেন্স টুল সরবরাহ করে৷ কেননা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সোশাল মিডিয়ায় সংগঠিত হওয়া দুষ্কর্ম বা অপরাধের উপর নজরদারি চালানো বা নিয়ন্ত্রণের কোনও উপায় এজেন্সিগুলির কাছে নেই৷‘সাইবার অস্ত্র’ পেগাসাস সেই কাজ সহজ করে দেয় বলে দাবি এনএসও-র৷
আরও পড়ুন: ১৯৯১ সালের থেকেও ভয়ঙ্কর অবস্থায় ভারতের অর্থনীতি: মনমোহন সিং
পেগাসাস একটি হ্যাকিং সফটওয়্যার৷ ইজরায়েলের সংস্থা এনএসও গ্রুপ এটি তৈরি করে৷ তার পর অর্থের বিনিময়ে এই সফটওয়্যার বিভিন্ন দেশের সরকারকে ব্যবহারের লাইসেন্স দেয়৷ বিশেষজ্ঞরা একে সাইবার অস্ত্র বলে থাকে৷ যাঁর ফোন হ্যাকিং হবে সেই ফোনে একটি ওয়েবসাইট লিঙ্ক পাঠানো হয়৷ লিঙ্কে একবার ক্লিক করলেই পেগাসাস ফোনে ইনস্টল হয়ে যাবে৷ শুরু হয়ে যায় ফোনে নজরদারি৷
হোয়াটসঅ্যাপের ভয়েস মেসেজ অথবা মিসড কলের মাধ্যমেও সফটওয়্যারটি ফোনে ইনস্টল হয়ে যেতে পারে৷ ইনস্টল হওয়ার পর কল লগ থেকে মুছে দেয় সফটওয়্যারটি৷ ফলে ব্যবহারকারী জানতেও পারেন না কোন নম্বর থেকে মিসড কল এসেছিল৷ এর পর ব্যবহারকারী কার সঙ্গে কথা বলছেন, কী মেসেজ আসছে, ফোনের মাইক্রোফোন, ক্যামেরা সব নিয়ন্ত্রণ করে পেগাসাস৷ এমনকী এনক্রিপটেড হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের তথ্য পড়ে ফেলতে পারে পেগাসাস৷