কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: লুইস ওরোপেজা। ভেনিজুয়েলার গ্যাংস্টারদের মধ্যে পরিচিত নাম। একসময় তাঁর দাপটে তটস্থ ছিল বেশকিছু এলাকা। সেই লুইস ও তাঁর গ্যাংয়ের সদস্যরা এখন অসামাজিক জীবন থেকে দূরে সরে এসে ব্যবসা শুরু করেছেন। স্কুল-গির্জা সংস্কারের কাজও করছেন। এককথায় সমাজকে পথ দেখাচ্ছেন তাঁরা। এই নাটকীয় রূপান্তরের নেপথ্যে রয়েছেন একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন মানুষদের অপহরণ করে মুক্তিপণের দাবিতে যে ঘরে আটকে রাখা হতো, সেই ঘর এখন ব্যবহার হচ্ছে ব্যবসার কাজে।
ভেনিজুয়েলার সাবানেতা শহরে এই ঘটনা রূপকথাকেও হার মানাবে। রাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি রণ সান্টা টেরেসাকেও বাঁচতে সাহায্য করেছে লুইস ও তাঁর গ্যাং। দেউলিয়া হয়ে যাওয়া কোম্পানি তাঁদের হাত ধরেই পেয়েছে পুরস্কার। ১৬ বছর বয়সে প্রথম খুন করেছিলেন লুইস। সেই লুইস আজ বলছেন, অন্য উপায়েও বাঁচা যায়, এটা প্রমাণ করার জন্যই আমরা ব্যবসাটা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি। বিপথগামী মানুষকে সমাজের মূলস্রোতে ফেরানোর জন্য ২০০৩ সালে আলকাট্রাজ নামে একটি প্রোজেক্ট শুরু হয়।
আরও পড়ুন: পেট্রোল-ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হবে, আশ্বাস পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর
আলকাট্রাজের সদস্যদের বিশেষ প্রশিক্ষণ চলছে
লুইসের গ্যাংয়ের দাপটের কাহিনী শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। গ্যাংয়ের এক সদস্যের স্ত্রী কার্লিং করোনাডো বলেন, রাত আসলেই ভয়ে থাকতাম। এই বুঝি হামলা হল! ঠিকমতো ঘুমও হতো না। শুধুই মনে হতো কেউ বুঝি দরজা ভাঙছে। ওরা জোরজবরদস্তি ঘরে ঢুকে মানুষকে হত্যা করত। লুইস জানান, দু’বছরের রিহ্যাব প্রোগ্রামে গ্যাংয়ের ২১৬ জন সদস্যের মধ্যে ৭০ শতাংশ অংশ নিয়েছিলেন।
অসামাজিক জীবন থেকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে তাঁদের জন্য রাগবি খেলা, সাইকোলজি সেশন এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হত। ইতিমধ্যেই ১০০ জন চাকরিও পেয়ে গিয়েছেন। আলকাট্রাজ প্রোজেক্টের জেনারেল ম্যানেজার গ্যাব্রিয়েল আলভারেজ বলেন, ওরোপেজার গ্যাংয়ের সদস্যরা এখন একটি কোম্পানি তৈরি করছে। কোম্পানিটি সান্তা টেরেসার পণ্য বিতরণ করা ছাড়াও একটি স্কুল এবং গির্জা সংস্কার করবে।
আরও পড়ুন: এ বার মধ্যপ্রদেশ, প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় বেপরোয়া গতিতে ঢুকল গাড়ি, মৃত ১
রাগবি খেলার প্রস্তুতি