কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: হাইতির ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৪১। এই ভূমিকম্পে প্রায় ৬০ হাজার বাড়ি ধ্বংসাবশেষের পরিণত হয়েছে। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭৬ হাজার বাড়ি। শিশু সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় ৫ লক্ষ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধারকারী দল গত ৪৮ ঘণ্টায় আরও ৩৪ জনকে উদ্ধার করেছে। সরকার সর্তকতা জারি করেছে।
আরও পড়ুন- হাইতিতে শক্তিশালী কম্পন, জারি সুনামি সতর্কতা
ভূমিকম্পের পরেও থামেনি প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ঝড়, বৃষ্টিতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শহর লে কায়েস। সেখানে অব্যাহত ছিল আফটারশক। ইতিমধ্যেই ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার বন্যার বিষয়ে সতর্ক করেছে। এই পরিস্থিতিতে মাঠের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত সাধারন মানুষ। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে কেউ গির্জায় আশ্রয় নিয়েছেন আবার কয়েকজনের শাওয়ার ক্যাপটুকুই সম্বল। এই পরিস্থিতিতে সরকারের বিরুদ্ধেও উঠেছে সহযোগিতা না করার অভিযোগ।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী, গত শনিবার বিকেল ৫ টা ২৯ মিনিটে একের পর এক কম্পনে কেঁপে উঠেছিল হাইতি। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে এই দেশটিতে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.২। ফলে, মুহূর্তের মধ্যেই ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে গোটা শহর। কম্পনের মাত্রা এতটাই তীব্রতর ছিল যে ২০০ মাইল দূরে জামাইকাতেও কম্পন অনুভব হয়েছিল।
আরও পড়ুন- ভূমিকম্প বিধ্বস্ত হাইতিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২৪
২০১০ সালেও ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়েছিল আমেরিকার অন্যতম গরিব দেশ হাইতি। কার্যত ধুলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছিল হাইতির একটি অংশ। প্রাণ হারিয়েছিল ২ লক্ষের বেশি মানুষ। সেই ভূমিকম্পের ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তার মধ্যেই ১১ বছর আগের স্মৃতি যেন আবার ফিরে এসেছে। আবারও চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে হাইতি।