মাত্র সাত দিনে অবস্থান বদল আদানি সংস্থার। গত এক সপ্তাহে শিল্পপতি গৌতম আদানি প্রায় ৬ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার খুইয়েছেন। ভারতীয় মুদ্রার হিসেবে তা ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকারও বেশি রাতারাতি ক্ষতি হয়েছে। ইতিহাস বলছে, এরআগে এক সপ্তাহে এত বেশি পরিমাণ সম্পত্তি হারানোর দুর্ভাগ্য আর কোনও শিল্পপতির হয়নি।
অথচ, অতিমারীর মধ্যেই প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছিল তাঁর। এই মুহূর্তে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানিকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। কার্যত,গত এক বছরে আদানির উত্থান ছিল প্রায় উল্কার মতো। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন যে, আগামীতে আম্বানিকে মসনদ থেকে তিনি সরিয়ে দিতে পারবেন। হয়ে উঠতে পারেন দেশ তথা এই মহাদেশের ধনীতম। কিন্তু মাত্র সাত দিনে সমীকরণটা পুরো পালটে গিয়েছে। কারণ, আদানির সংস্থায় বিনিয়োগ করা মরিশাসের তিনটি সংস্থার অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ ডিপোজেটরি লিমিটেড’। এই তিনটি সংস্থার অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের ধাক্কাতেই শেয়ার বাজারে পতন হয় আদানি গ্রুপের। এরফলে গত সোমবারই আদানি গ্রুপের শেয়ার রাতারাতি ২৫ শতাংশ পড়ে যায়। ৫১ হাজার কোটি টাকার বেশি কমে যায় শেয়ারের দর। তবে,আদানি সংস্থার দাবি, অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করা হয়নি। অ্যাকাউন্টগুলি এখনও অ্যাকটিভই রয়েছে। এর ফলে কিছুটা হলেও শেয়ার বাজারে উন্নতি হয়। তা সত্ত্বেও মোটের ওপর অন্য বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত হতে পারেননি।
উল্লেখ্য, মে মাসের শেষদিকে প্রকাশিত ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, গৌতম আদানি চীনা ধনকুবের জং শানশানকে টপকে এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি হন। তাঁর সামনে কেবল মুকেশ আম্বানি। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয় যে তিনি যেকোনও সময় আম্বানিকে টপকে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হয়ে উঠতে পারেন। এমন সম্ভাবনাময় পরিস্থিতিতে রাতারাতি ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতিতে অস্বস্তির মুখে ৫৮ বছরের শিল্পপতি গৌতম আদানি।