লন্ডন: করোনার ডেল্টা রূপ নিয়ে দুশ্চিন্তায় গোটা বিশ্ব৷ তার মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ট্রেডস অ্যাডানম গেব্রেইয়েসুস সতর্ক করে জানিয়ে দেন, ‘তৃতীয় ঢেউ উঠতে শুরু করেছে৷ আমরা তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক স্তরে পৌঁছে গিয়েছি৷’ হু-এর সতর্কতা সত্ত্বেও সোমবার থেকে যাবতীয় বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয় ব্রিটিশ সরকার৷ বিরোধীরা তো বটেই, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বরিস সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে৷ জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠবে৷
আরও পড়ুন: পেগাসাস স্পাইওয়্যার কী? কীভাবে ফোনে আড়ি পাতা হয়?
রবিবার মধ্যরাত থেকে খুলে গিয়েছে নাইট ক্লাবগুলি৷ রেস্তোরাঁ, শপিং মল, থিয়েটার, সিনেমা হল, স্টেডিয়াম, জিম, স্পা, পার্লারগুলি আগের মতো পুরোদমে কাজ শুরুর অনুমতি পেয়েছে৷ বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় কাছে-পিঠে ঘুরতে চলে যাচ্ছেন বহু মানুষ৷ চারিদিকে মুক্তির হাওয়া৷
নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়া নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের যুক্তি, ‘এখন বিধিনিষেধ না তুললে শরৎকালে সব চালু করে দিতে হত৷ তার পরই শীতকাল৷ শীতের মাসগুলিতে ভাইরাসের সক্রিয় হয়ে ওঠার প্রবণতা বেশি৷ তাই বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের এটাই সেরা সময়৷ কিন্তু আমাদের সাবধান থাকতে হবে৷’
সাবধানের বাণী শোনালেও তা বাস্তবে কতটা মেনে চলা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ বিরোধী দল লেবার পার্টির জোনাথন অ্যাশওয়ার্থ জানিয়েছেন, সরকার তাড়াহুড়ো করছে৷ বিশেষজ্ঞদের কথা শুনছে না৷ এই সিদ্ধান্তের ফল মারাত্মক হতে চলেছে৷ গোটা বিশ্বে বিপর্যয় নেমে আসবে৷
আরও পড়ুন: আস্থা ভোটে জয়, নেপালের নয়া প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা
বিশেষজ্ঞরাও ব্রিটিশ সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে৷ জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে করোনা সংক্রমণ আরও বেশি করে লাগামের বাইরে চলে যাবে৷ ব্রিটেনে দৈনিক সংক্রমণ এখনও ৫০ হাজারের কাছাকাছি৷ সংক্রমণ রোখার জন্য ব্রিটেন যে সার্বিক টিকাকরণের কাজ সেরে ফেলেছে তাও নয়৷ টিকা নেওয়া হয়েছে মানেই করোনা হবে না এমন ভাবনা ভুল৷ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দৌলতে সংক্রমণের সংখ্যা ফের বাড়ছে৷ তাই নিয়ন্ত্রণবিধি আরও কয়েক সপ্তাহ চালিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ ছিল৷