কাবুল: তালিবানের সঙ্গে সংঘর্ষে পঞ্জশিরে (Panjshir) প্রাণ হারালেন রোহুল্লাহ সালেহ (Rohullah Saleh)৷ যিনি প্রাক্তন আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং তদারকি প্রেসিডেন্ট আমেরুল্লাহ সালেহ-র (Amrullah Saleh) ভাই ছিলেন৷ অত্যাচারের পর তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করে তালিব যোদ্ধারা৷ আমেরুল্লাহ সালেহ-র পরিবারও খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে৷ জানিয়েছে, রোহুল্লাহকে খুনের পর উল্লাসে মেতে ওঠে জঙ্গিরা৷ বলে, ওর শরীর পচে যাওয়া উচিত৷
আরও পড়ুন: মহিলারা মন্ত্রী হতে পারে না, সন্তান জন্ম দেওয়াই তাদের কাজ: তালিবান
তালিবানের বিরুদ্ধে একমাত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছে পঞ্জশির৷ দুর্গম এই উপত্যকা দখলে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তালিবান৷ প্রতিদিন প্রতিরোধ বাহিনীর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ চলছে জঙ্গিদের৷ তালিবানের দাবি, পঞ্জশিরের অনেক এলাকা তাদের দখলে চলে এসেছে৷ রাজধানী বাজারাকেও পতন হয়েছে৷ যদিও উত্তরের জোটের নেতারা তালিবানের কাছে মাথা নত করেননি৷ তাঁরা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন৷ কিন্তু তালিবানের সঙ্গে যুদ্ধে যেভাবে একের পর এক প্রতিরোধ বাহিনীর শীর্ষস্তরের কমান্ডাররা প্রাণ হারাচ্ছেন তাতে পঞ্জশিরের নিরাপত্তা নিয়ে সকলের মধ্যে তৈরি হয়েছে সংশয়৷
প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির পরিবারের এক সদস্য এবাদুল্লাহ সালেহ রয়টার্সকে মেসেজ পাঠিয়ে জানান, ‘ওরা আমার কাকাকে মেরে ফেলেছে৷ গতকাল তাঁকে খুন করে তালিবান৷ কবরের জন্য আমাদের দেহ পর্যন্ত দেয়নি৷’ উর্দুতে লেখা বার্তায় এবাদুল্লাহ জানিয়েছেন, তালিব যোদ্ধারা বারবার বলছিল, ওর শরীর পচে যাওয়া উচিত৷
আরও পড়ুন: পাক মহিলা এজেন্টকে সেনাবাহিনীর তথ্য পাচার, ধৃত রেলকর্মী
এরই মধ্যে খবর মেলে পঞ্জশির ছেড়ে চলে গিয়েছেন আমেরুল্লাহ সালেহ এবং আহমেদ মাসুদ৷ তাঁরা নাকি আশ্রয় নিয়েছেন তাজিকিস্তানে৷ কিন্তু তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রদূত বুধবার জানান, মাসুদ এবং আমেরুল্লাহ পঞ্জশিরেই আছেন৷ তাঁরা কোথাও পালাননি৷