কাবুল: দ্বিতীয়বার আফগানিস্তানের (Afghanistan) ক্ষমতায় ফিরেছে তালিবান (Taliban)৷ কিন্তু মহিলাদের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এতটুকুও বদলায়নি৷ সদ্য গঠিত মন্ত্রিসভায় একজন মহিলাকেও জায়গা দেওয়া হয়নি৷ যা নিয়ে আফগানিস্তানে প্রতিবাদ জানিয়েছেন মহিলারা৷ দেশের বাইরেও সমালোচিত হচ্ছে তারা৷ যদিও তাতে তালিবানের কিছু যায় আসে না৷ বরং জঙ্গি সংগঠনের মুখপাত্র জানান, মহিলারা আবার মন্ত্রী? ওদের শুধু সন্তান জন্ম দেওয়া উচিত৷
আরও পড়ুন: ‘আমিও কাশ্মীরি পণ্ডিত’, জম্মুতে বললেন রাহুল, ‘সুযোগসন্ধানী’ বলে খোঁচা বিজেপির
আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালিবান জানিয়েছিল, তারা শরিয়া আইন মেনে চলবে৷ মহিলাদের কাজ করতে দেবে৷ তাদের প্রতি কোনও বৈষম্য হবে না৷ কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে ঠিক উল্টোটা৷ তালিবানের কাজকর্মে পরিস্কার, আফগানিস্তানে মেয়েদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে৷ তাদের উপর চাপানো হয়েছে একাধিক ফতোয়া৷ পুরুষ সঙ্গী ছাড়া বাইরে বেরতে পারবে না৷ বাইরে বেরনোর সময় মাথা থেকে পা ঢেকে বেরতে হবে৷ কোথাও কাজ করতে পারবে না৷ স্কুল বা কলেজে ছেলে-মেয়েরা একসঙ্গে পড়াশোনা করতে পারবে না ইত্যাদি ইত্যাদি৷
তালিবানের ফতোয়া মানতে নারাজ আফগান মহিলারা৷ অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে পথে নামেন কয়েকজন মহিলা৷ তালিবানের মানসিকতার প্রতিবাদ জানান তাঁরা৷ জোর গলায় বলেন, ‘এটা ২০ বছরের আগের আফগানিস্তান নয়৷’ কিন্তু তালিবান যেন ২০ বছর আগের আফগানিস্তানকেই ফিরিয়ে আনতে চাইছে৷ সম্প্রতি নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করে তারা৷ সেখানে রাখা হয়নি কোনও মহিলা জনপ্রতিনিধিকে৷ সে সম্ভাবনাও ছিল ক্ষীণ৷
আরও পড়ুন: সিলেবাসে সাভারকার-গোয়ালকারের লেখা, সিপিএম শাসিত কেরলে তুমুল বিতর্ক
তালিবান মুখপাত্র সইদ জেকরুল্লা হাশিমি এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘একজন মহিলা মন্ত্রী হতে পারেন না৷ মহিলাদের মন্ত্রিসভায় জায়গা দিতে হবে এটা প্রয়োজনীয় নয়৷ ওদের সন্তান দেওয়া উচিত৷ আফগানিস্তানের মহিলারা সন্তানের জন্ম দেবেন৷ তাদের ইসলামি শিক্ষায় বড় করে তুলবেন৷ এটাই তাদের কাজ৷ মন্ত্রিসভার কাজ সামলানো তাঁর জন্য নয়৷ যে মহিলারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা দেশের সব মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব করেন না৷’