হিমেল ঠাণ্ডা বাতাস। তা উপেক্ষা করেই উৎসবে মাতার আয়োজন শুরু। এবার দুই দিনের বদলে তিন দিন ধরে চলবে পুজো। শুরুটা হয়েছিল ২০১৭-তে। দক্ষিণ সুইডেনের হেলসিংবর্গ। সেখানকার বেঙ্গলি কালচারাল সোসাইটির এ বছরের ভাবনা ‘আত্মজা’। নারী শক্তির ক্ষমতায়নের প্রতীক হয়ে থাকছে সাজে-পুজোর আয়জনে। উদ্যোক্তাদের কথায়, “আমাদের আত্মজা পূজিতা হবেন নারী পুরোহিত-র হাতেই। সোমা, মহুয়া, মধুমিতারা দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন নিজেদের হাতে।”
প্রবাসে মূর্তি প্রতি বছর আনানো সম্ভব হয়ে না। তাই মূর্তি একটাই। একই মূর্তিতে বিগত বছরের মতো এবারও পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। অক্টোবরে শীতের কারণে সুইডেনের কমিউনিটি হল ভাড়া করে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের দাবি, বাংলার থেকে দূরে থেকেও পুজোর দিনগুলো কাটে দারুণ হৈ-হুল্লোড়ের মধ্যে দিয়ে।
আরও দেখুন: পুজোর ক’দিন ব্রিটেনে এক টুকরো বাংলার আসর বসাচ্ছে ‘আড্ডা’
সকলে মিলে পুজোর জোগাড়, অতিথি-দর্শকদের আপ্যায়ন, ভোগ রান্না, কব্জি ডুবিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। বড়-ছোট সদস্যদের নিয়ে আবৃত্তি, গান, নাচ আর নাটকের অনুষ্ঠান। যার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে মাস চারেক আগে। আয়োজন করা হবে ধুনুচি নাচ, মোমবাতি জ্বালানোর মতো প্রতিযোগিতার। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত থাকবে, রকমারি ভোজের ব্যবস্থা। এ বছর মেনুতে থাকছে ছানার ডালনা, আলু ফুলকপি, কাশ্মীরি আলু, মাছ,কষা মাংস,পুলাও,বিরিয়ানি, মিষ্টি।