আমেরিকার তৈরি 5G C-Band বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা আমরেকিার বিমান সংস্থাগুলির। যে কারণে বিশ্বের একাধিক দেশে বাতিল করা হয়েছিল আমেরিকা রুটের সমস্ত বিমান। এ তালিকায় ছিল ভারত। পরে আমেরিকার কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে বৃহস্পতিবার থেকে ফের আমেরিকাগামী বিমান চলাচল শুরু করে এয়ার ইন্ডিয়া।
আমেরিকায় শীঘ্রই শুরু হবে 5G C-Band পরিষেবা। পঞ্চম প্রজন্মের এই সেলুলার নেটওয়ার্ক 4G’র তুলনায় প্রায় ১০০ গুণ দ্রুত পরিষেবা দিতে সক্ষম। ভারতেও এই পরিষেবা চালু হবে। কিন্তু এই উন্নত প্রযুক্তি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারত ও মার্কিন বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে। বিমান অবতরণের সময় মাটি থেকে বিমানের উচ্চতা মাপা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।এই কাজটা করে থাকে রেডিও অল্টিমিটার বা Rad Alt। আমেরিকার এয়ারলাইনসগুলির বক্তব্য, 5G নেটওয়ার্কের তরঙ্গের সংস্পর্শে এলে বিমানের রেডিও অল্টিমিটার সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফলে বিমান অবতরণের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকার যাত্রীবাহী ও কার্গো বিমান সংস্থাগুলি। রেডিও অল্টিমিটার সঠিক তথ্য দিতে না পারলে বিমান দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও আছে বলে জানিয়েছে তারা।
একই সমস্যার কথা জানিয়েছে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলিও। ভারতে 5G C-Band পরিষেবা চালু হলে আমেরিকার মতোই সমস্যার সম্মুখীন হবে ভারত। রেডিও অল্টিমিটারের কাজে বিঘ্ন ঘটাতে পারে 5G। মার্কিন বিমান সংস্থাগুলি এই আশঙ্কার কথা প্রবেশ করলে সতর্ক হয়ে যায় ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, এমিরেটর্স, জাপান এয়ারলাইন্স। আমেরিকাগামী প্রায় সব বিমান বাতিল করে দেয় এই সংস্থাগুলি। এয়ার ইন্ডিয়া আমেরিকা রুটের ৮টির বেশি বিমান বাতিল করে দেয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার আমেরিকার আশ্বাসে বোয়িং-এর বি৭৭৭ বিমানকে ছাড়পত্র দেওয়া হলে ওই দিন থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার আমেরিকা রুটের উড়ান পরিষেবা চালু হয়। ভারতে 5G চালুর ব্যাপারে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে দেশের বিমান পরিষেবা দফতরকে চিঠি দিয়েছে ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান পাইলটস।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি জায়গাতেই 5G’র ট্রায়াল চালু হওয়ার কথা। তবে বিমানবন্দর নেই কিংবা বিমানবন্দর থেকে দূরের জায়গাগুলিতে 5G’র ট্রায়াল হবে। কিন্তু এর আগে ফ্রান্স সহ বিশ্বের আরও ৪০টি দেশে 5G পরিষেবা চালু হয়েছে। সেখানে এই ধরণের কোনও সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। তাহলে আমেরিকায় ক্ষেত্রে কেন এই সমস্যা, তা নিয়ে চিন্তায় মার্কিন টেলিকম অপারেটররা।