কাবুল: শাসক বদলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পালটে গিয়েছে সমগ্র দেশের পরিস্থিতি। বদলে গিয়েছে আফগানিস্তানের সমাজ ব্যবস্থা। ওই দেশের নতুন সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র এবং ছাত্রীদের বসার জন্য প্ররথক ব্যবস্থা করেছে মাঝে পর্দা রেখে। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছাত্রীদের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে।
যার বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে ছাত্ররা। একই বয়সে যখন ছাত্ররা স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষাগ্রহণ করার জন্য সেই সময়ে ছাত্রীদের থাকতে হচ্ছে বাড়িতে। তাঁদের থাকতে হবে পর্দার আড়ালে। শিক্ষা তাদের জন্য নয়। বাড়িতে থাকতে হবে, স্কুলে যাওয়া তো অনেক দূরের কথা। কারণ তারা মেয়ে হয়ে জন্ম নিয়েছে।
আরও পড়ুন- ১৬ হাজার টাকা দেওয়ার নামে ফাঁদ! অচেনা যুবককে বিশ্বাস করে ঠকলেন মহিলা
সমবয়সী বোনেরা যখন স্কুলে যেতে পারছে না তখন প্রতিবাদে সরব হয়েছে খুদে ভাইয়েরা। প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে আওয়াজ তুলেছে সোশাল মিডিয়ায়। যা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ছোট্ট এক আফগান ভাই প্ল্যাকার্ডে লিখে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছে। যেখানে লেখা, “আমরা আমাদের বোনদের ছাড়া স্কুলে যায় না।”
আরও পড়ুন- শিশুকে সিরাপের বদলে বড়দের ইঞ্জেকশন! বিতর্কে ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল
গত ১৫ অগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দখল নেয় তালিবান। সেই সঙ্গে সমগ্র দেশের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর হাতে। সরকার গঠিত হয়েছে কুখ্যাত জঙ্গিদের নিয়ে। শরিয়া মেনে সরকার পরিচালনা করতে গিয়ে নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে মহিলাদের উপরে। গত শনিবার স্কুল চালু হলেও তা কেবলমাত্র ছাত্রদের জন্য। ছাত্রীদের বিষয়ে কিছু উল্লেখ ছিল না আফগানিস্তানের নয়া সরকারের নির্দেশিকায়।