শীতকালে(winter) ঋতুস্রাব(menstruation) মানেই গোদের ওপর বিষফোড়া। একেই মাসের এই সময়টা মুড সুইং, জ্বর জ্বর ভাব, গা বমি, গায়ে হাতে পায়ে কিংবা, তলপেটে ও কোমরে অসহ্য যন্ত্রণার মতো এক এক জন মহিলার এক এক রকমের সমস্যা থাকে। আর শীতকালে বলা বাহুল্য জ্বর জ্বর ভাগ হোক কিংবা কোমর-পেটে ব্যথা ঠান্ডা আবহাওয়ায় যেন দ্বিগুণ বেড়ে যায়। যদিও প্রকৃতির নিয়মে এই দু’টো পরিবর্তনের কোনটাই আপনার হাতে নেই। তবে যেটা আছে সেটা হল কীভাবে পিরিয়ড পেন(period pain) প্রশমিত করা যায়। এক্ষেত্রে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। খাদ্যতালিকায় সামান্য কিছু অদলবদলেই ঋতুস্রাবের অসহ্য যন্ত্রণা থেকে খানিকটা রেহাই মিলবে। যেমন-
শাক-সবজি
রক্তের অভাবে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এর ফলে পেটের ব্যথা আরও বেশি বেড়ে যায়। নানা রকমের শাক পাতা খেলে শরীরে আয়রনের অভাব থেকে মুক্তি পাবেন। এর ফলে যন্ত্রণাও অনেকটা কম হয়।
ভাতের সঙ্গে টক দই
পিরিয়ডের সময় যন্ত্রাণায় সারক্ষণ কুঁকড়ে থাকেন? এই অবস্থা যদি আপনার হয় তা হলে এই কটা দিন নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় অবশই দই আর ভাত রাখুন। এই দু’টো খাবার এক সঙ্গে খেলে ব্যাথা অনেকটাই কমে।
ভিটামিন বি৬ আর পোটাশিয়াম
পেটের যন্ত্রণায় কাবু হয়ে যান যাঁরা কিংবা হাতে পা অবশ হয়ে আসে, তাঁরা ভিটামিন বি৬ ও পোটাশিয়াম রয়েছে এমন খাবার খান আরাম পাবেন। যেমন আনারস, পাকা কলাও কিওয়ি খেতে পারেন। এগুলো যেমন ব্যথা কম করবে তেমন শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাবে।
আরও পড়ুন: Winter & Tea: শীতে অবশ্যই পান করুন ক্যামোমাইল টি
ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার
পিরিয়ডের অসহ্য ব্যাথা থেকে রেহাই পেতে ক্যালশিয়াম যক্ত খাবার খুবই লাভজনক।ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার যেমন দুধ, দই, পনির ও অন্যন্য দুগ্ধজাতীয় খাবার পিরিয়ডসের হাজারো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ডিম খান
পিরিয়ড ক্র্যাম্পের থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে ডিম। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন ই রয়েছে।