বাড়িতে হোক বা বাড়ির বাইরে পেট ভরে খাবার খাওয়ার পরেও শেষপাতে মিষ্টি না খেলে মন যেন ভরে না। যত দিন যাচ্ছে ততই যেন পেয়ে বসছে মিষ্টি প্রীতি। এদিকে মিষ্টির আসক্তি মানেই ডায়বিটিসের মতো সাইলেন্ট কিলারকে যেন যেচে পড়ে ডেকে আনা। এই অবস্থা যদি আপনার হয় তা হলে সময় থাকতেই সতর্ক থাকার প্রয়োজন। আরে! তাই বলে এটা ভাববেন মিষ্টি খাওয়া ছেড়ে দিতে বলছি। বরং চিনির বদলে আর কোন কোনও জিনিস দিয়ে পছন্দের মিষ্টি বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারবেন রইল সেই সব উপায়। যেমন-
মধু (honey)
চিনির বদলে মিষ্টি বা ওই জাতীয় খাবার বানানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন মধু। এটা রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়তে দেয় না নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া এতে যে পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি ও অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে সেটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
গুড় (jaggery)
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুড় বেশ উপকারী। আপনি চায়ে চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করতে পারেন। তা ছাড়া গুড়ে প্রচুর মাত্রায় আয়রন আর ফ্লোরিন রয়েছে। এই কারণে সর্দি কাশিতে গুড় খেলে উপকার হয়। সর্দি কাশি সেরে যায়।
আরও পড়ুন: চিনি যুক্ত খাবারে আশক্তি নিয়ন্ত্রণ করুন এই ভাবে
নারকেলের চিনি (sugar from coconut )
নারকেল থেকে তৈরি হয় নারকেলের চিনি। এই চিনি হালকা বাদামী রঙয়ের হয়। এতে আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালশিয়াম, পোটেশিয়াম ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে। এগুলি শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
খেজুর (dates)
খেজুরে ন্যাচারাল সুগার থাকে। তাই মিষ্টি তৈরি করতে হলে কিংবা মিষ্টি কোনও পদ যেমন পায়েস ইত্যাদি তৈরি করতে হলে খেজুর ব্যবহার করতে পারেন। খেজুরে ন্যাচারাল সুগার থাকার পাশাপাশি ফাইবারও থাকে তাই ডায়বেটিকরা অল্প পরিমাণে খেজুর খেতে পারেন। এছাড়াও খেজুরে ভাল পরিমাণে ফাইবার, পোটেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সেলেনিয়াম থাকে। এই সব উপাদানগুলি শরীরের জন্য খু্বই উপকারী। যেমন ড্রাই ফ্রুটের সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে ড্রাই ফ্রট লাড্ডু খেতে পারেন। এগুলো আচমকা খিদে পেলে খুবই কাজের। স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকারক ফাস্ট ফুডের বদলে বাড়িতে কিংবা অফিসে কাজের ফাঁকে এগুলি খেতে পারেন।