নয়াদিল্লি: বেলাগাম করোনা সংক্রমণের কারণে রাজধানী দিল্লিতে কড়া পুলিসি টহলদারি চলছে। তারপরও বর্ষবরণের দিনে শুক্রবার কনট প্লেস এবং সরোজিনী নগরের মতো করোনার অন্যতম হটস্পট গুলিতে হাজার হাজার মানুষের ভিড়৷ বিশেষ করে যেখানে এনফোর্সমেন্ট বিভাগের আধিকারিকদের টহলদারি নেই বললেই চলে৷
সরোজিনী বাজারের এক ক্রেতা বলেন, বাজারের ভিতরে পুলিস ও এনফোর্সমেন্টের কর্তাদের টহলদারি চলছে৷ তুলনামূলক ওই এলাকাগুলিতে ভিড় কম আছে৷ কিন্ত বাজারের বাইরে বহু মানুষের ভিড়৷ অথচ, সেখানে কোনও পুলিস বা প্রশাসনিক কর্তারা নেই৷ এমনকী বহু মানুষের মুখে মাস্ক নেই৷ তারপরও নির্বিকার প্রশাসন৷
সরোজিনী মার্কেটের ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক রানাধাওয়া জানান বাজারে খুব বেশি ভিড় হয়নি৷ বরং, ক্রেতা না হওয়া ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা৷ তিনি বলেন, ‘ দোকানগুলি এলোমেলো ভাবে খোলা হচ্ছে৷ শীতের জন্য উলের পোশাক দোকানে দোকানে মজুত করা হয়েছে৷ যা ক্রেতার অভাবে বিক্রি করা যাচ্ছে না৷ দোকানিরা গত বছরের মতই ক্ষতির সম্মুখীন৷ তবে, করোনাবিধি নিষেধ কঠোরভাবে মান হচ্ছে৷ আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের মধ্য মাস্ক বিলি করা হচ্ছে৷ যারা মাস্ক ছাড়া কেউ যাতে বাজারে ঢুকতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে৷
বাজারের ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর, পুলিসি নির্দেশে রাত দশটার মধ্যে বাজার খালি করে দেওয়া হচ্ছে৷ পুলিসিও সময়মতো টহলদারি চালিয়ে যাচ্ছে৷ কেউ যাতে দশটার পরে দোকান খোলা না রাখে সেদিকে নজর রাখছে৷
কনট প্লেস, চাণক্যপুরী, হাউজ খাসের মতো এলাকার মতো জনবহুল এলাকায় পুলিসি টহল জোরদার চলছে৷ মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো বা ইভ-টিজিং-এ লিপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে৷ মহিলা পুলিস রয়েছে৷ নাইট কারফিউ কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে তা নিশ্চিত করতে সাদা পোশাকের পুলিসও মোতায়েন রয়েছে৷
দিল্লি পুলিসের মুখপাত্র চিন্ময় বিশ্বাল বলেন, ‘‘প্রতিটি জায়গায় প্রয়োজনীয় পুলিস মোতায়েন রয়েছে৷ দিল্লি প্রশাসনের তরফে স্থানীয়দের কঠোরভাবে করোনাবিধি নিষেধ পালনের অনুরোধ জানানো হয়েছে৷ সাদা পোশাকের পুলিসও নজরদারি চালাচ্ছে৷’’