কলকাতা : হাঁটুর ব্যথায় ১০০ শতাংশ সেরে ওঠার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিপাকে সংস্থা । এই সংস্থার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য দফতরকে তদন্ত করার নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য কমিশন । সেই সঙ্গে এই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সংস্থার বিজ্ঞাপনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর।
এক ব্যক্তি হাঁটুর ব্যথার চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন ওই সংস্থার রাসবিহারীর অফিসে। তাঁর হাঁটুর ব্যথা কমেনি বলে জানিয়ে স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ করেন তিনি। বুধবার শুনানি শেষে স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি অসীম বন্দোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। এছাড়াও অভিযোগ জানানো হয়েছে ওই হাসপাতালে হোমিওপ্যাথির ডাক্তার রোগী দেখেছেন আর লিখেছেন আয়ুর্বেদিক ওষুধ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে হোমিওপ্যাথি কাউন্সিলের কাছে স্বাস্থ্য কমিশন জানতে চায় একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার এভাবে চিকিৎসা করতে পারেন কি না তা।
এই ধরনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য কমিশন। উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা অজিত কুমার নাগ ওই সংস্থায় ১২ হাজার ৬০০ টাকা খরচ করে হাঁটুর ব্যথা সারাতে গিয়েছিলেন । কারণ বিজ্ঞাপনে ১০০ শতাংশ সারিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য ওই সংস্থা ওই ব্যক্তিকে জানায় এই চিকিৎসায় কোনও গ্যারান্টি নেই। তবে, হাঁটু সারানোর চেষ্টা করা হবে ।
আরও পড়ুন – করোনা মোকাবিলায় ‘অ্যান্টিভাইরাল পিল’ সেবনের অনুমতি যুক্তরাষ্ট্রে
এর পরেই স্বাস্থ্য কমিশন স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ দিয়েছে, ওই সংস্থাকে ফিজিওথেরাপীর লাইসেন্স কীভাবে দেওয়া হয়েছে? সেখানে চিকিৎসক নয় এমন ব্যক্তিকে দিয়ে কীভাবে চিকিৎসা হচ্ছে? লাইসেন্স অনুযায়ী নিয়মগুলি পালন হচ্ছে কিনা এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে।
এছাড়াও চিকিৎসা খরচ হিসেবে যা টাকা নেওয়া হয়েছিল তা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিজ্ঞাপনে ডক্টর অপূর্ব গাঙ্গুলী নামে যে উল্লেখ ছিল তিনি আদতে কোন ডাক্তার নন। তিনি একজন পিএইচডি। চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, মানুষ কোথায় চিকিৎসা করাতে যাচ্ছেন, সেখানে কোন ডাক্তার চিকিৎসা করছে, তার আদৌ চিকিৎসা করার যোগ্যতা আছে কি না, থাকলে কী যোগ্যতা আছে তা বুঝতে পারছেন না রোগীরা। বেশ কয়েকটি ঘটনায় এ ধরনের বিষয় নজরে এসেছে। যার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে স্বাস্থ্য কমিশন।