শীতকাল এলেই বেড়ে যায় হার্ট সংক্রান্ত একাধিক সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন আবহাওয়ার পারদ নিচে নামতে শুরু করলে উচ্চ রক্তচাপ যাঁদের, তাঁদের অনেকেরই শরীরে রক্ত গাঢ় হয়ে যাওয়া কিংবা জমাট বাঁধার মতো সমস্যা দেখা দেয়। আর এই সব কারণে শীতকালে কয়েকগুণ বেড়ে যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। তাই শীতের মরশুমে হার্ট নিয়ে বাড়তি সাবধানতা অবলম্বনের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রথম এবং অত্যন্ত জরুরি পদক্ষেপ হল নিত্যদিনের খাদ্যতালিকা থেকে এই সব খাবার বাদ দেওয়া । যেমন-
ময়দা (refined flour)
ময়দা খেলে শরীরে কোলেস্ট্রলের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে হার্ট অ্যাট্যাকের সম্ভাবনাও বাড়ে। তাই শীতকালে ময়দার তৈরি খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
রিফাইনড অয়েল (refined flour)
ময়দার মতো, এই তেলও বেশি খেলে শরীরে কোলেস্ট্রলের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে বাড়ে হার্ট অ্যাট্যাকের সম্ভাবনা। তাই রিফাইনড অয়েল যথাসম্ভব এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
চিনি(sugar)
চিনি খেলে ধমনিতে সংকোচনের( artery contraction )কারণে রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি হয়। তাই শীতকালে মিষ্টি খাওয়ার কারণে ডায়বিটিস ও হার্ট অ্যাট্যাক দু’টোর সম্ভভাবনাই বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: Winter and herbs: শীতে শরীর ভাল রাখতে বাগানে লাগান এই সব ভেষজ গাছ
নুন (salt)
বেশি নুন খেলে ব্লাড প্রেসার বাড়ে। তাই শীতকালে বেশি নুন খাওয়ার অভ্যেস ডেকে আনতে পারে হার্ট ফেল ও হার্ট অ্যাটাকের মতো বড় বিপদ।
সোডা (soda)
চিনি সহ সোডাতে অন্যান্য রাসায়নিক থাকে। এর ফলে সোডা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। তাই এই জাতীয় খাবার আর পানীয় শরীরে যাওয়ায় ব্লাড প্রেশার ও সুগারের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিফ (beef)
বিফে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা খুব বেশি থাকে। তাই এই জাতীয় খাবার খেলে শরীরে ডায়বিটিস ও হার্টের সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
এনার্জি ড্রিংকস (energy drinks)
এনার্জি ড্রিংকে টরাইনের মতো ন্যাচারাল এনার্জি বুস্টারের মাত্রা বেশি থাকে। তাই এগুলো খেলে হৃদ স্পন্দ বেড়ে যায়। আর এই ভাবে আচমকা হৃদ স্পন্দন বেড়ে যাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।