দুর্গাপুর : গড়জঙ্গলে শ্যামরূপা মন্দির। মলানদিঘি থেকে চার কিমি রাস্তা পেরোলেই রাঢ়বঙ্গের এই ঐতিহ্যবাহী পুজো। হাজার বছরেরও বেশি বয়স শ্যামরূপার মন্দিরের। শাল, মহুয়ার ঘন জঙ্গলে পেরিয়ে গড়জঙ্গলের এই শ্যমরূপা মন্দির। প্রায় হাজার বছর ধরে দেবী দুর্গারূপে পূজিত হয়ে আসছেন মা শ্যামরূপা। দুর্গাপুজোর আনন্দ উপভোগ করতে পুজোর এই চারদিন বিভিন্ন জেলা থেকে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয়। চলে ভোগ বিতরণ।
শোনা যায়, রাজা লক্ষণ সেন গৌড় সাম্রাজ্য থেকে পালিয়ে এখানে আত্মগোপন করেছিলেন।তিনিই প্রথম পুজো শুরু করেন এই গভীর জঙ্গলে।লক্ষণ সেন চলে যাওয়ার পর ইচ্ছাই ঘোষকে মন্দিরের দায়িত্ব দেন।তারপর থেকে তিনিই এই মন্দিরের পুজো করতেন।
আরও পড়ুন : আতস কাচের আগুন নিয়ে কেশিয়াড়ির দুর্গাপুজোর হোম
শ্যামরূপা মন্দির
অষ্টমীর দিন ইচ্ছাই ঘোষকে যুদ্ধে যেতে স্বপ্নাদেশ দেন দেবী।রাজা দেবীর কথা না শুনে সপ্তমীর দিনই চলে যান যুদ্ধে। দেবীর কথা অমান্য করায় রাজা পরাজিত হন এবং নিহত হন। তারপর রাজার অনুচরেরা গড়জঙ্গল থেকে দূরে দ্বীপসায়ের নামে একটি জলাশয়ে দেবীর মূর্তি বিসর্জন করে দেয়।পরে অষ্টধাতুর মূর্তি বসিয়ে পুজো দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : দুর্গাপুজোতে পদ্মার ইলিশে সাজবে বাঙালির পাত
সবুজে ঘেরা জঙ্গলের মাঝে শ্যামরূপা মন্দিরের পুজোয় বহু মানুষের ঢল নামে। নিয়ম রীতি মেনেই সপ্তমীর দিন মায়ের পুজো শেষে লাউ বলি হয়। অষ্টমির দিন অষ্টমি পুজো এবং সন্ধিপুজো সহ নিখুঁত সাদা পাঁঠা বলি হয়। শ্যামরূপা মন্দিরে বলিদানের পরেই শুরু হয় আশপাশের গ্রামের অন্যান্য মন্দিরে বলিদান।