কলকাতা : ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ। কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে টলিউড অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে। নুসরতের বিরুদ্ধে প্রথমে মুখ খুলেছিলেন বিজেপির শঙ্কুদেব পণ্ডা। এরপর থেকে তাঁর দিকে ধেয়ে এসেছে একের পর এক রাজনৈতিক আক্রমণ।এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন নুসরতও। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছিলেন এই অভিনেত্রী। বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এই নায়িকা।’যা বলা হচ্ছে তা হাফ মেড স্টোরি’, ফ্ল্যাট দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ানোয় মুখ খুললেন নুসরত ।এবার তাঁর হয়ে মুখ খুললেন যশ। সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে ফ্ল্যাট তৈরির নামে ২৪ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। যদিও সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে নুসরত জানান, তিনি ওই সংস্থার থেকে ঋণ নিয়েছিলেন, যা তিনি পরে পরিশোধও করে দেন। কিন্তু সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের বর্তমান ডিরেক্টর রাকেশ সিং নুসরতের এই দাবি অস্বীকার করেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, সংস্থার তরফ থেকে নুসরতকে কোনো ঋণ দেওয়া হয়নি।
এবার নুসরতের হয়ে মুখ খুললেন যশ দাশগুপ্ত। অভিনেতা জানান, “ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে নুসরতকে নিয়ে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন।” উল্লেখ্য, দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত পাম অ্যাভিনিউ-এ আড়াইহাজার স্কোয়ারফিটের ফ্ল্যাট আছে নুসরতের। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, এই ফ্ল্যাটটি কেনার জন্যই তিনি ওই সংস্থা থেকে ১ কোটি ১৬ লক্ষ, ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। পরে নাকি সুদ সমেত সেই ধার মিটিয়ে দেন তিনি। যদিও ওই সংস্থার ডিরেক্টর রাকেশ সিংয়ের দাবি, “আমাদের থেকে কোনো ঋণ নুসরত নেননি। নুসরত যা বলছেন তা একদম ঠিক নয়। কারণ আমরা ওই ফ্ল্যাটটি কোম্পানির ইনভেসমেন্ট হিসাবে ডেভলপারকে অ্যাডভান্স করেছিলাম। পরে সেটি নুসরতের পছন্দ হয়ে যায়। তখন উনি বাকি টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রি করে নেন।”