চার বছরের খুদে তারকা’র হাতে ঝকঝকে তলোয়ার। তা নিয়ে হিংস্রভাবে লোকজনের দিকে তেড়ে যাচ্ছে। সেই তলোয়ার নিয়ে শুধু তেড়ে যাচ্ছে না, সেইসঙ্গে নানানা অঙ্গভঙ্গি করে রে রে চিৎকার করে উঠছে। এসব কান্ড নাকি সে ‘তানাজি’ ছবি দেখার পর তা থেকে শিখেছে। এই ছবিতে প্রধান খলনায়ক উদয় ভান রাঠোর এর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল সইফ আলী খানকে। আর তারপর থেকেই খুদে নায়ক তৈমুরের খেলার তলোয়ার নিয়ে সারা বাড়ি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সে বাবার কোন বারন শুনতে চায় না। সে নিজে নিজেই ঠিক করে নিয়েছে, যে সে একটা আস্ত শয়তান হয় ব্যাংক লুঠ করবে। এমনকি মানুষজনের টাকা-পয়সাও কেড়েকুড়ে নিতে চাই সে। বাবার সইফ যতই তৈমুরকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে ‘এটা সিনেমা সেখানে আমি দুষ্টু লোক’। সেদিকে কোন কর্ণপাতই করতে চায় না তৈমুর। ‘যশরাজ ফিল্মসে’র ইউটিউব চ্যানেলে এক নতুন শোতে ‘বান্টি অউর বাবলি ২’ ছবির প্রচারে মুখোমুখি আড্ডায় বসেছিলেন ছবির দুই মুখ্য অভিনেতা সইফ আলি খান ও রানি মুখোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, প্রায় ১২ বছর পর সইফ-রানিকে আবার বড় পর্দায় দেখবে দর্শকরা। টিভি শোতে কথায় কথায় আড্ডার ফাঁকে তৈমুরের এইসব কাণ্ডকারখানার কথা ফাঁস করলেন সইফ নিজে। যা শুনে হাসিতে ফেটে পড়লেন রানি। যা দেখে সইফ বললেন, তুমি হাসছো ঠিকই, কিন্তু চিন্তায় আমার ঘুম উড়ে গেছে। এমন হিংস্র তৈমুর কখনো দেখেননি ছোটে নবাব। বেগতিক দেখে শেষ পর্যন্ত সইফ নাকি মা করিনা কাপুরের জিম্মায় দিয়ে ব্যাপারটা ভালো করে তৈমুরকে বুঝিয়ে বলার অনুরোধ করেন। নইলে পরে যে মুশকিল হয়ে যাবে তাও স্ত্রী-করিনাকে ইঙ্গিত দিয়ে যান।