লন্ডন: ফিফার বিচারে সেরা ফুটবলারের পুরস্কার পেলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। এই নিয়ে তিনবার এই সম্মান পেলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এবার পুরস্কার পথে তিনি হারিয়ে দিলেন নরওয়ের এর্লিং হালান্ড (Erling Haaland) এবং ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপেকে (Kylian Mbappe)। যদিও মেসির ফিফার বিচারে এবার সেরা হওয়া নিয়ে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে ২০ অগাস্ট ২০২৩ সময়কালের পারফরম্যান্সের বিচারে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। মেসি বিশ্বকাপ জিতেছিলেন ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২-এ। কাজেই ওই সাফল্য বিবেচ্য নয়। বিবেচ্য তাঁর পিএসজি (PSG) এবং ইন্টার মায়ামির (Inter Miami) হয়ে পারফরম্যান্স। পিএসজি ফরাসি লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এবং মায়ামিকে তাদের প্রথম ট্রফি জিততে সাহায্য করেছেন মেসি। বলতে গেলে একার ঘাড়ে চ্যাম্পিয়ন করেছেন।
আরও পড়ুন: ডার্বিতে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের ভরসা বিদেশিরাই
আর্জেন্টিনাকে (Argentina) বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের খেলায় কনমেবল-এর এক নম্বরে থাকতে সহায়তা করেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর পুরস্কার পাওয়া নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। প্রথমত, ফরাসি লিগে পিএসজি-র প্রতিপক্ষ দল তুলনায় অনেক দুর্বল। যেখানে প্রতিযোগিতা কঠিন, সেই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রি-কোয়ার্টার থেকে ছিটকে গিয়েছিল প্যারিসের ক্লাব। এমনকী শেষের দিকে সমর্থকদের বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়েছে মেসিকে।
ইন্টার মায়ামির হয়ে তিনি একক কৃতিত্ব দেখিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু মার্কিন মুলুকের ফুটবল ইউরোপের সমকক্ষ নয় কোনওভাবেই। এদিকে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ২০২২-এর জুন মাসে ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে যোগ দেন হালান্ড। প্রথম মরসুমে সবধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৩ ম্যাচে ৫২ গোল করেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড সৃষ্টিকারী এক মরসুমে ৩৬ গোল। এর অনেকটাই হয়েছে ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে ২০ অগাস্ট ২০২৩ সময়কালের মধ্যেই। মেসির থেকে কোনও অংশে পিছিয়ে ছিলেন না তিনি, বরং পরিসংখ্যানের বিচারে এগিয়েই ছিলেন।
দেখুন অন্য খবর: