কিশোর কুমারের ভক্ত গোটা বিশ্বজুড়ে। এক লহমায় মানুষের মনে পৌঁছে যাওয়ার সুর অমর শিল্পী কিশোর। আজ ৪ অগাস্ট তাঁর জন্মদিন। একাধিক ভারতীয় ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি । দাপট দেখিয়েছেন বড় পর্দায় । তবে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা পেয়েছেন পর্দার পিছনে প্লেব্যাক গায়ক হিসেবেই। যা রেকর্ড। কিন্তু ৭০ দশকে তৎকালীন শাসকদল শেষ করে দিতে চেয়েছিল এই শিল্পীর সুর। জানেন কীভাবে?
আরও পড়ুন: Aajke | সৌরনীলের মৃত্যু, সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ
১৯৭৬ সাল জরুরি অবস্থার বিষবাষ্পে তখন দম বন্ধ হয়ে আসছে দেশের গণতন্ত্রের। শিল্প ও সংস্কৃতির ওপর উঠে আসছে শাসকের চাবুক। আর ঠিক সেই সময়ই স্বয়ং ইন্দিরা গান্ধী চেয়েছিলেন এমন একজন কন্ঠ যা, এক নিমেষেই দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে এবং তাঁর সরকারের প্রচার করবে। আর তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই উঠে এসেছিল কিশোর কুমারের নাম । তাঁর কন্ঠকেই অস্ত্র করে নিজের মত প্রকাশ করতে চেয়েছিল তৎকালীন শাসকদল । তবে সরকারের ঘেরাটোপে পড়তে চাননি কিশোর বিপদ আসতে পারে জেনেও নাকোচ করে দিয়েছিলেন সেই প্রস্তাব । আর হয়েও ছিল তেমনটাই। জরুরি অবস্থা চলাকালীন কিশোর কুমারের গানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয় । কিশোর কুমারের গানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশের সমস্ত সরকারি গণমাধ্যমকে নির্দেশ দেওয়া হয় । তখন মানুষের কাছে বিনোদন বলতে একমাত্র মাধ্যম ছিল সরকারি গণমাধ্যম। কিন্তু শাসকদলের সেই আশা সফল হয়নি । কারণ কিশোর ছিল অমর শিল্পী । যে কন্ঠকে কাজে লাগিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে তাদের মন জয় করতে চেয়েছিল সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরেও অবশেষে সেই কন্ঠেরই জয় হয়েছিল।
কলকাতা টিভির পক্ষ থেকে সেই অমর শিল্পীকে ৯৪ তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা ।