কলকাতা: টলিউডের তারকাদের মধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যে রাজনীতির খাতায় নাম লিখিয়েছেন। সেই তালিকা অনেক লম্বা।দেব, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহানের মতো গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই রাজনীতির ময়দানে যোগ দিয়েছেন এযাবৎকাল। এবার অভিনেতা জিৎ-ও কি সেই একই পথে হাঁটতে চলেছেন? কেউ কেউ রাজনীতির সঙ্গে অভিনয় পেশাও সমান তালে ব্যালেন্স করে চলেছেন। তবে কেউ আবার সক্রিয় ভাবে শুধু রাজনীতিই করছেন। উদাহরণ অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। এরই মাঝে রাজনীতিতে আসা নিয়ে মুখ খুললেন টলিউড সুপারস্টার জিত।
৩০ নভেম্বর ছিল জিতের জন্মদিন, সেই উপলক্ষেই ইনস্টাগ্রামে লাইভ চ্যাটে এসেছিলেন তিনি। সেখানে অনুরাগীদের নানা প্রশ্নবাণের মুখোমুখি হতে হয় অভিনেতাকে। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন থেকে কেরিয়ার, যাবতীয় বিষয় নিয়েই প্রশ্ন আসতে থাকে। এই করোনা আবহে প্রিয় অভিনেতার বিশেষ দিনে সামনে গিয়ে শুভেচ্ছাবার্তা জানানোর উপায় না থাকলেও এই লাইভ চ্যাট সেশন কিন্তু অনুরাগীরা বেশ উপভোগ করেছেন। জিতের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে চোখ রাখলেই তা ঠাহর করা যায়।
সামনেই আসছে লোকসভা ভোট। টলিউডের অর্ধেক মুখই এখন ভোটের ময়দানে। দেব, সোহম, মিমি, নুসরত থেকে শুরু করে তালিকায় রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। এমতাবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়ায় জিত-ভক্তরাও ইতিমধ্যে লিখতে শুরু করেছে এবারের ভোটে জিত দাঁড়াবেন কিনা। তবে রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করার জিত সরাসরি জানিয়েছেন, “যে কাজটা পারি না করতে সেটা কীভাবে করবো? কাল যদি আমাকে বলা হয় বিরাট কোহলির সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে, আমি কি পারবো?”
উল্লেখ্য, কেরিয়ারের শুরু থেকেই কমার্শিয়াল ছবিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য তিনি। আপাতত তাঁর হাতে একের পর এক কাজও রয়েছে। অভিনেতার শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি চেঙ্গিজ বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করেছে। বাংলা ও হিন্দি ভাষায় প্যান ইন্ডিয়া মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। যদিও ছবিটি বাংলায় ভালো ব্যবসা করলেও বাংলার বাইরে তেমন ভালো ফল দেখাতে পারেনি।