ওয়েব ডেস্ক : ৩০ কোটি টাকার প্রতারণা। পরিচালক বিক্রম ভাট (Vikram Bhatt) ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করল রাজস্থান পুলিশ (Rajasthan Police)। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা উদয়পুরের ইন্দিরা গ্রুপ অফ কোম্পানিজ-এর মালিক অজয় মুর্দিয়াকে চলচ্চিত্র নির্মাণের নাম করে বিপুল অর্থের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করেছেন। অবশ্য, এই সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে পরিচালকের তরফে। পুলিশ সূত্রে খবর, পরিচালক বিক্রম ভাট ও তাঁর স্ত্রীকে হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁদের মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এর পর তাঁদেরকে ট্রানজিট রিমান্ডে উদয়পুরে নিয়ে যাওয়া হবে।
এই ঘটনা নিয়ে পুলিশের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অজয় মুর্দিয়া। তিনি অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রীর জীবনকে কেন্দ্র করে ‘বায়োপিক’ নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে ২০০ কোটি টাকা লাভ হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগের নাম করে তাঁর কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, এই মামলাতে মেহবুব ও দিনেশ কাটারিয়াকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আরও খবর : বিয়ে ভাঙতেই মুখ খুললেন পলাশ! স্মৃতিকে নিয়ে কী বললেন? দেখে নিন
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিক্রম ভাট (Vikram Bhatt) জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি “ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর”। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “আজ জানতে পেরেছি আমাদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। আমি তা পড়েছি। মনে হচ্ছে পুলিশকে ভুল পথে পরিচালিত করা হয়েছে। এফআইআর-এ লেখা অনেক তথ্যই মিথ্যা।”
তিনি আরও দাবি করেন, “পুলিশকে বোঝাতে জাল নথি তৈরি করা হয়েছে বলে মনে হয়। ঠিক কী করা হয়েছে জানি না, তবে নিশ্চয়ই কিছু বানানো কাগজপত্র ব্যবহার করা হয়েছে।” পরিচালকের তরফে দাবি করা হয়েছে, অজয় মুর্দিয়ায় ‘বিরাট’ নামে ওই ছবি মাঝ পথেই বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আর এই কাজ বন্ধ হওয়ার কারণে বহু প্রযুক্তিশিল্পী বকেয়া পাওনা দাবি করছেন। সেই টাকা না দেওয়ার জন্যই এই মামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
বিক্রম ভাট জানিয়েছেন, এই মামলার তদন্তে তিনি পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। প্রয়োজনীয় নথিপত্রও তদন্তকারীদের সামনে পেশ করতে প্রস্তুত। অন্যদিকে এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ (Police)। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছেও বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
দেখুন অন্য খবর :