একের পর এক বলিউড চিত্রনির্মাতারা করোনার ধাক্কায় যখন ছবি তৈরির ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছিলেন তখন বলিউড সুপারস্টার অক্ষয় কুমার কিন্তু ধারাবাহিকভাবে শুটিং চালিয়ে গেছেন। করোনার প্রভাবে একসময় যথেষ্ট সন্দেহ তৈরি হয়েছিল যে আদৌ দর্শকরা আবার নতুন করে প্রেক্ষাগৃহে ফিরবেন কিনা! একের পর এক বলিউড ছবির মুক্তি পিছিয়ে গিয়েছিল। প্রেক্ষাগৃহ খোলার পর অক্ষয় কুমারের একের পর এক ছবি মুক্তি পেয়েছে। ‘ফ্লপ’ শব্দটি তার সঙ্গে কখনোই যায় না। সুপার স্টারের পাইপলাইনে একের পর এক ছবির তালিকা। কিন্তু দক্ষিণী ছবির ঝড়ে বলিউড ছবির ব্যবসা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত। প্যালিন্ডিয়া মুক্তিতে ‘পুষ্পা’, ‘ট্রিপল আর’ এবং সেইসঙ্গে ‘গাঙ্গুবাঈ’ এর মাঝে পরে রীতিমতো নাজেহাল হয়েছে অক্ষয় কুমারের ‘বচ্চন পান্ডে’। গত মাসের মাঝামাঝি বচ্চন পান্ডে মুক্তি পেলেও সিনেমা হলে খুব বেশিদিন টিকতে পারেনি। সামাল দিতে পারিনি দক্ষিণী ছবি বক্স অফিসে ঝড়। একটি আন্তর্জাতিক ওয়েব প্লাটফর্মে অন্যান্য বলিউড ছবির সঙ্গে বিক্রি হয়েছে ‘বচ্চন পান্ডে’। সূত্রের খবর ‘হিরোপান্তি ২’,’কাভি ঈদ কাভি দিওয়ালি’, ‘সত্যনারায়ন কি কথা’এবং ‘কিক ২’ এর সঙ্গে ‘বচ্চন পান্ডে’ অর্থাৎ এই পাঁচটি ছবি দাম পেয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। ওটিটিতে একযোগে বিক্রি হওয়া বাচ্চান পান্ডে সেভাবে পসার জমাতে পারে নি। কারণ মোটের ওপর মাথাপিছু ৫০ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে এই ছবি।