এবছর গিরিশ পুরস্কার পেলেন কৌশিক সেন। সম্প্রতি কৌশিক পুত্র ঋদ্ধি তার ইন্সটা পেজ এ খবরটি প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে কৌশিক সেন এবছর গিরিশ পুরস্কার প্রাপক। কিন্তু সেটা তার কাছে পুরস্কারের থেকেও বড় বিষয় কৌশিক এই পুরস্কারের পুরো অর্থটাই তুলে দিচ্ছেন চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষের হাতে। বাচ্চাদের ডায়ালিসিস এর খরচ জোগাতে। ঋদ্ধি লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমি , তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের পক্ষ থেকে থিয়েটারের জন্য এই বছরের গিরিশ পুরস্কারের প্রাপক কৌশিক সেন l প্রায় ৩০ বছর পূর্বে এই পুরস্কারের সূচনা l যার কাছে জীবনের ৫৪টা বছরের দিনের শুরু এবং শেষ হয়েছে ‘The Empty space’ দিয়ে। প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত সে বদলে দিচ্ছে এই ‘empty space’ কে তার সময়ের তুলি দিয়ে l To one of the finest and best theatre soldier , I’ve ever known , to a truly complete artist, চলতে থাকুক এই যাত্রা , চলতে থাকুক এই খোঁজা সময়ের সাজঘরে l
আমার দাদু চলে যান যখন আমার বাবার ১৪ বছর বয়েস, কিডনি ফেইলিউর l একজন শিল্পীর কাছে সম্মানটাই আসল, তাই এই পুরস্কারের সাথে যুক্ত সাম্মানিকের প্রয়োজনীয়তা অন্যত্র l এটা হয়তো একটা বিরাট সমুদ্রে এক চামচ জলের মতো। তবুও, বাবা এই সাম্মানিক পৌঁছে দিচ্ছেন Dr অপূর্ব ঘোষের কাছে, যিনি প্রতিদিন চেষ্টা করছেন বহু শিশুদের ডায়ালিসিসের যন্ত্রনা থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি দিতে l এটা অতি ক্ষুদ্র একটা প্রচেষ্টা, তবে শিল্প এবং শিল্পীর কিছু কর্তব্য থেকে যায়, থাকবেই l”
সাবাস কৌশিক, সাবাস ঋদ্ধি। চারদিকে যখন ইন্সটাতে সেলফির হ্যাংলামো আর যেনতেন প্রকারেন নিজেকে জাহির করার অদম্য প্রতিযোগিতা সেখানে এই ধরণের একটা প্রয়াস নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। এই শহরে প্রতিদিন কয়েক হাজার শিশু কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। অর্থকষ্টে বাবা মা কুল পাচ্ছেন না কিভাবে সন্তানকে সুস্থ করবেন। অপূর্ব ঘোষের মতন কিছু চিকিৎসক আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন কত কম খরচে ডায়ালিসিস পৌঁছে দেওয়া যায় এই শিশুদের। সেখানে কৌশিকের মতো মানুষদের এই ধরণের প্রয়াস যদি আরও কিছু ‘সেলিব্রিটি’ কে একটু তাদের কথা ভাবতে সাহায্য করেন তবে তো সেটাই অনেক।