জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তাঁর ভক্তদের কৌতূহলের শেষ নেই। দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করতে এসে অভিনেতা নাগা চৈতন্য প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। তারপর তাঁর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু চার বছরের মধ্যে দুই অভিনেতা বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁদের রোমান্টিক কাপল হিসেবে দর্শকরা জানতো। বিবাহ-বিচ্ছেদের পরেও তাদের সম্পর্ক নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও প্রাক্তন স্বামীকে সামান্তা তার শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন। একের পর এক সব ভেঙ্গে নিজের অভিনয় দক্ষতাকে প্রমাণ করেছেন সামান্থা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি যথেষ্ট একটিভ। ‘দ্যা ফামিলি মান ২’ এর যৌন দৃশ্য কিংবা ‘পুষ্পা’ ছবিতে আল্লু অর্জুন এর সঙ্গে আইটেম গানে সামান্হার শরীরী ভাষা ছবিকে আরো জনপ্রিয় করে তুলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলেছে ঝড়। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে ‘আস্ক মি এনিথিং’ পর্বে এক ভক্ত সামান্থাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এর পর কোন ধরনের ট্যাটু করানোর কথা তিনি ভাবছেন? এই কথা শুনে আঁতকে উঠেছিলেন অভিনেত্রী।
প্রাক্তন স্বামী নাগা চৈতন্যকে নিয়ে তিনি যথেষ্ট বিপদে পড়েছেন। নাগা কে নিয়ে সারা গায়ে যে সমস্ত ট্যাটু করেছিলেন সামান্তা তা এখন মুছে ফেলার মত ঝক্কি পোহাবেন কিনা তা বুঝে উঠতে পারছেন না। শরীরে খোদাই-করা ট্যাটুর মধ্যে দিয়ে তিনি যেন প্রাক্তন স্বামীকে বহন করে চলেছেন। তাই ওই ভক্তের প্রশ্নের উত্তরে সামান্থা বলে ওঠেন,’ওরে বাবা! ট্যাটু জীবনে আর নয়; ভুল করেও করছি না’। অভিনেত্রীর মনের দুঃখের কথা সবাই বুঝতে পেরেছেন। সামান্হার শরীরে নাগার স্মৃতি রয়েছে তিনটি ট্যাটুতে। সামান্তার ঘাড়ের কাছে কি রয়েছে যেখানে লেখা রয়েছে ‘ইয়ে মায়া চেসভ’। যে তেলেগু ছবির সেটে তাদের দুজনের প্রথম দেখা হয়েছিল। এই ছবির স্মৃতি নিজের শরীরে এখনো নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দ্বিতীয় ট্যাটুটি রয়েছে পাঁজরের হাড়ে। যেখানে লেখা রয়েছে ‘চৈ’। অর্থাৎ প্রাক্তন এর নামের আদ্যক্ষর। আরেকটি ট্যাটু রয়েছে তার শরীরের লুকনো জায়গায়। যা নিয়ে তিনি মুখ খোলেননি।