পশ্চিম বর্ধমান: সুনীল মণ্ডলের তৃণমূলে ফিরে আসা নিয়ে ক্ষোভ কর্মীদের মধ্যে। কাঁকসা অঞ্চলে তাঁর বাড়ির সামনে লাগানো হয়েছে পোস্টার। সোমবার ওই বিজেপি নেতা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তিনি তৃণমূলেই ছিলেন এবং তৃণমূলেই আছেন। প্রসঙ্গত ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন ওই সাংসদ।
আরও পড়ুন: চাকরির টোপ ফেলে প্রতারণা, পুলিশের জালে লালবাজারের ভুয়ো গোয়েন্দা কর্তা
নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই বেসুরো তৃণমূল বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীলকুমার মণ্ডল। সুনীল মণ্ডলকে একাধিক বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরাতে দেখা যায়। এমনকি দিন কয়েক আগে রাতের অন্ধকারে দিল্লিতে মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করতেও গিয়েছিলেন তিনি। সোমবার পেগাসাস ইস্যু নিয়ে লোকসভায় তৃণমূলের সাংসদরা বিক্ষোভ দেখানোর সময় বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপি নেতা সুনীলকুমার মণ্ডল। এ বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সমস্ত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি তৃণমূলেই ছিলেন এবং তৃণমূলেই আছেন। সুনীলের মণ্ডলের এই মন্তব্যেই বেজায় ক্ষুব্ধ কাঁকসার তৃণমূলের নিচু স্তরের কর্মীরা।
আরও পড়ুন: চলবে লাগাতার বৃষ্টি, কতদিন?
সোমবার গভীর রাত্রে সুনীল মণ্ডলের বাড়ির সামনে এবং একাধিক জায়গায় পোস্টার দেওয়া হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তাতে লাল আর কালো কালিতে লেখা শুভেন্দু ও জিতেন্দ্রের মত গদ্দারদের নিয়ে বিজেপিতে যোগদানের মাষ্টার প্ল্যান ভুলিনি। যদিও কাঁকসা ব্লকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সী জানিয়েছেন, নিচু তলার কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে সেটা ঠিকই তবে দলের উচ্চ নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই তাঁদের মানতে হবে।
আরও পড়ুন: হিউম্যান রাইটস কমিশনের চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি, গ্রেফতার ৪
কাঁকসার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এটা এখন ধারাবাহিক ব্যাপার হয়ে গেছে। সুনীল মণ্ডল শুধু একা নন বহু নেতা-নেত্রী এখন হামেশাই দলবদল করে বেড়াচ্ছেন। আগামী দিনে আবার কোনও দল আসবে তখন সেই দলের সভায় যোগদান করার জন্য দৌড়াবেন তিনি।