হাওড়া : আশঙ্কাই সত্য হল। সন্ধ্যের আগে ট্রেন ধরার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গেল হাওড়া স্টেশনে। ট্রেনে উঠতে না পারায় ও একের পর এক লোকাল বাতিল করায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ল নিত্যযাত্রীরা। উত্তেজিত যাত্রীরা প্রথমে আরপিএফ অফিস এবং পরে হাওড়ার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের (ডিআরএম) অফিস ঘেরাও করেন। যাত্রী বিক্ষোভে সোমবার সন্ধে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাওড়া স্টেশন চত্বরে।
লোকাল ট্রেন সম্পর্কে রাজ্যের জারি করা বিধিনিষেধের পর থেকে রেলযাত্রীদের মধ্যে শেষ ট্রেন ছাড়া সম্পর্কে নানা রকম ধন্দ ও জল্পনা চলেছে দিনভর। ৭টায় শেষ ট্রেন ছাড়বে, না কি ৭টা’র মধ্যে গন্তব্য স্টেশনে পৌঁছবে ট্রেন, এ নিয়ে ধন্দ ছিল।
রেল বা রাজ্যের তরফে এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনও সময়সারণী বিকেল পর্যন্ত না পাওয়ায় দুপুর গড়াতেই ভিড় আছড়ে পড়ে হাওড়া স্টেশনে। শহরতলিমুখী বিভিন্ন লোকাল ট্রেন ধরার জন্য হাজার হাজার যাত্রী চলে আসেন হাওড়া স্টেশনে। স্বভাবতই বিধিনিষেধের প্রায় সব নির্দেশিকাই এক লহমায় শিকেয় ওঠে। প্ল্যাটফর্মে কাতারে কাতারে পুরুষ, মহিলার ভিড় জমতে শুরু করে বিকেল থেকেই। এক একটি ট্রেন ছাড়ার সময় ভিড়ে চিঁড়েচ্যাপটা হওয়ার জোগাড় হয় যাত্রীদের। এই নিয়ে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয় স্টেশন চত্বরে। ট্রেনে উঠতে না পেরে এবং বাড়ি ফেরার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যায় ট্রেন না পেয়ে যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন। হাওড়ার আরপিএফ অফিসে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন যাত্রীরা। ঘেরাও করে রাখা হয় রেল আধিকারিকদের।
আরও পড়ুন : শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনে বাড়ছে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন
আরও পড়ুন : তেজসের ঝাঁ-চকচকে কোচ এবার হাওড়া ও শিয়ালদহ রাজধানী এক্সপ্রেসে
দূরদূরান্তে যাওয়ার জন্য মানুষের এই হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মেদিনীপুর লোকাল ধরতে হাজারো মানুষের ভিড়। প্ল্যাটফর্মের দিক থেকে দরজায় ঢুকতে না পেরে লাইন টপকে ট্রেনে ওঠার হুড়োহুড়ি দেখা যায়। শিশু সহ মহিলারাও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে লাইন টপকে ট্রেনে ওঠেন। প্ল্যাটফর্ম দিয়ে বয়ে চলে হাজার হাজার জনতার স্রোত। শেষ পর্যন্ত সময়মতো ট্রেনে উঠতে না পেরে উত্তেজিত যাত্রীরা পৌঁছে যান আরপিএফ-এর অফিসে। সব মিলিয়ে এদিন বিকেলের পর উত্তেজনা চরমে পৌঁছয় হাওড়া স্টেশন চত্বরে।