শিলিগুড়ি: দেশের ক্রমবর্ধমান কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের সঙ্গে শিলিগুড়িও পিছিয়ে নেই। এই অবস্থায় আগামী ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি পুরসভার নির্বাচন। ১০ মাস আগেই শিলিগুড়ি পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। সে সময় কোভিড পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। রাজ্য সরকার প্রশাসকমণ্ডলীর দ্বারা পুরসভা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে তিন মাস ও পরবর্তীতে সাত মাস বোর্ড পরিচালনা করা হয় প্রশাসকমণ্ডলীর মাধ্যমে।
উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার শিলিগুড়ি। এই শহরের সঙ্গে নেপাল, বাংলাদেশ, সিকিম ও ভুটানের সরাসরি যোগাযোগ আছে। প্রতিনিয়ত প্রচুর সংখ্যক মানুষের আনাগোনা এই শহরে। যা কোভিড পরিস্থিতিতে যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। সরকারিভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী শিলিগুড়ি পুরসভার অধীনে থাকা ওয়ার্ডগুলির মধ্যে ৯৮ জনের কোভিড পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। গত ৯ জানুয়ারি শিলিগুড়ি পুরসভায় ১২২ জন কোভিড পজিটিভ ছিলেন। তারপর থেকেই কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন : Siliguri: শিলিগুড়িতে তৃণমূল-বহিষ্কৃত নির্দল প্রার্থী গ্রেফতার
পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সেই কারণেই পুরসভার পক্ষ থেকে শহরে বেশ কয়েকটি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৬ জানুয়ারি সর্বপ্রথম শিলিগুড়ি শহরে ৯টি মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়। যদিও আজ সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৬টিতে। শহরবাসীর সঙ্গে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কর্মীর মুখে ভোটের মুখে এই কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। বিশেষ করে অনেক ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক দলগুলো পাঁচের অধিক দলীয় কর্মী-সমর্থক নিয়ে প্রচারে যাচ্ছে না বলে দেখা যাচ্ছে। অনেককেই দেখা যায় মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরতে। যদিও শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে গতকাল পর্যন্ত ১৫০০ জনকে আটক হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ি পুরসভার নির্বাচনের পরে কোভিড সংক্রমণের হার আরও বাড়বে কি না সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।