কাটোয়া : মোবাইল ইন্টারনেটের যুগে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসা ভাদু উৎসব আজও বেঁচে রয়েছে রাঢ়বঙ্গে। সমাজের কল্যাণে ভাদুর ভূমিকা অপরিসীম। এ বছর করোনা আবহে করোনার গান বেঁধে সচেতনতার প্রচার হল কাটোয়া মহকুমার বিভিন্ন গ্রামে।
আরও পড়ুন : বলিপাড়ায় গণেশ উৎসব
কাটোয়া মহাকুমার প্রত্যন্ত গ্রাম গুলিতে চলছে ভাদু বন্দনা। ছোট্ট মাটির ভাদু মূর্তিকে সামনে রেখে বাদ্যযন্ত্র সহযোগে চলছে ভাদ্র সংক্রান্তি শেষে ভাদু উৎসব। প্রকৃতির প্রতি গ্রাম্য সরল সাদাসিদে মানুষজনদের নিবির টান ও প্রাচীন লোকগীতির মেলবন্ধনে গ্রাম্য ভাষায় গেয়ে চলা লোকগানে এখনও রয়েছে ভাদুর প্রতি শ্রদ্ধা। ভাদু বন্দনা নামে গ্রামের মানুষজনদের গাওয়া গানে মূলত ফুটে ওঠে গ্রামের বর্তমান ও প্রাচীন সমাজ ব্যবস্থা, কৃষিকাজ, বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা। সেই গানে এবারে যোগ হয়েছে সচেতনতামূলক উপদেশ। এছাড়াও এই গানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় রোজকার সুখ দুঃখের কথা। কিন্তু এবছর গ্রামবাসীদের সচেতন করতে করোনা নিয়ে গান বেঁধেছেন ভাদু শিল্পীরা।
আরও পড়ুন : বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে হাতিদের রাখী বন্ধন উৎসব
কাটোয়া মহকুমার প্রত্যন্ত গ্রাম চুরপুনি, রসুই, করুই সহ বিভিন্ন গ্রামে দেখা মেলে ভাদ্র মাসের শেষে ভাদু বন্দনার। গ্রামগঞ্জে ভাদুকে ফসলের দেবী হিসেবে মানা হয়। জমিতে ফসল উৎপাদনের অঙ্গ হিসাবে ধরে নিয়ে চলে ভাদুর বন্দনা। শ্রাবন মাসের শেষে কৃষিজীবী মানুষের কাজ বন্ধ থাকে। ফসল যাতে ভাল হয় সেই কারণে ভাদ্র মাসের শেষের দিকে গ্রামগঞ্জে ভাদু বন্দনার আয়োজন করা হয়। ভাদ্র মাসের ৩০ তারিখে ভাদু মূর্তিকে গঙ্গায় বিসর্জন দিয়ে শেষ হয় ভাদু উৎসব বা ভাদু পরব।